‘মক্কা ও মদিনার নিরাপত্তায় প্রয়োজনে সৈন্য পাঠাবে বাংলাদেশ’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সৌদি আরবের সঙ্গে কোনো প্রতিরক্ষা চুক্তি নয়, সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয়েছে। প্রয়োজন হলে পবিত্র মক্কা-মদিনার নিরাপত্তায় সৈন্য পাঠাবে বাংলাদেশ।

সোমবার রাতে জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, মাদ্রাসা জঙ্গিবাদ তৈরির কারখানা নয়, সবদিক বিচার-বিশ্লেষণ করেই কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স সমমান করা হয়েছে।

একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে সংসদনেতা প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের রোল মডেল বাংলাদেশ শুধু দক্ষিণ এশিয়ার নয়, এখন অনেক উন্নত দেশের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। গত নির্বাচন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, এটি বানচালের নানা ষড়যন্ত্র ছিল, জনগণ তাতে সাড়া দেয়নি, ভোটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকেই আবারও বিজয়ী করেছে। জবাব দেন, সংসদে আলোচনায় আসা সৌদি আরবের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তিসহ বেশ কিছু ইস্যুর।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের সেনাবাহিনীর সদস্যরা তারা যদি কোনো দেশের সঙ্গে যুদ্ধ করে, সেই যুদ্ধে আমাদের সামরিক বাহিনী লিপ্ত হবে না। যুদ্ধে আমরা অংশগ্রহণ করব না। আর আমাদের দুটি পবিত্র জায়গা মক্কা ও মদিনা। এই মক্কা ও মদিনার যদি নিরাপত্তা রক্ষার প্রয়োজন হয়, সেখানে আমরা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে যেতে দেব। এটাই কিন্তু হয়েছে। কাজেই এখানে ভুল বোঝাবুঝির কোনো অবকাশ নেই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে বলেই উন্নয়ন দৃশ্যমান হচ্ছে। জানান, মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ অব্যাহত থাকবে। কথা বলেন, কওমি মাদ্রাসার সনদের স্বীকৃতি প্রসঙ্গে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘শিক্ষা নীতিমালার মধ্যে তাদেরও আমরা ধর্মীয় শিক্ষার সাথে সাথে পার্থিব শিক্ষা দিয়ে তাদের জীবন-জীবিকার পথ আমরা করে দিচ্ছি যাতে অন্য কেউ তাদের ব্যবহার করতে না পারে। এখানে কেউ কেউ বলবেন মাদ্রাসা হচ্ছে একেবারে সন্ত্রাস বা জঙ্গিবাদ সৃষ্টির কারখানা। এটা কিন্তু সঠিক নয়। আমি এটা সম্পূর্ণ একমত না।

একই সঙ্গে শেখ হাসিনা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, হলি আর্টিজানের জঙ্গি ঘটনার সঙ্গে মাদ্রাসা নয়, ইংলিশ মিডিয়ামের শিক্ষার্থীরা জড়িত ছিল। উন্নয়ন কাজের ব্যয় নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলছেন তাদের বাংলাদেশের মাটি ও পানির বিষয়টি বিবেচনা করার তাগিদ দেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইন্ডিয়াতে কম লাগে বা অন্য দেশে কম লাগে, আমাদের দেশে বেশি লাগে কেন? তাদের আমরা বলব আমাদের দেশের মাটিটা যেন তারা হাত দিয়ে ধরে দেখে।’

শেষে অধিবেশন সমাপ্তি সংক্রান্ত রাষ্ট্রপতির আদেশ পড়ে শোনান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।