মঠবাড়িয়ায় অন্ধ কৃষককে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার উত্তর সোনাখালী মৌজার ৪৬৪/১ নং খতিয়ানের ২ একর ৫২ শতাংশ জমি নিয়ে ওমর আলী তালুকদার ও চিত্তরঞ্জন ঢালির মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে অন্ধ ও অসহায় ওমর আলীকে একাধিক মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে চিত্তরঞ্জন ঢালি ও তার ভাই মনোরঞ্জন ঢালির বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, ওমর আলী তালুকদার ১৯৬৭ সাল থেকে ক্রয় সূত্রে মালিক হয়ে ২ একর ৫২ শতাংশ জমিতে চাষাবাদ সহ গাছপালা রোপন ও কৃষিকাজ করে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করে আসছে।সম্প্রতী উক্ত জমির অনুকূলে জাল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে চিত্তরঞ্জন ঢালি ৪৮৯ নং একটি বিতর্কিত ও ভুয়া খতিয়ান খুলে উক্ত জমি দখলের চেষ্টা করে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার তদন্ত প্রতিবেদনে ৪৮৯ খতিয়ানটি বিতর্কিত প্রমানিত হলে চিত্তরঞ্জন ঢালি কোন উপায় না পেয়ে মন্দির ভাঙা সহ বিভিন্ন ইস্যু সৃষ্টি করে হয়রানি করার চেষ্টা করে। বিজ্ঞ আদালত থেকে রায় পাওয়া স্বত্বেও ওমর আলী তালুকদারকে থানা পুলিশ দিয়ে হয়রানি করার বিষয়টি নিয়ে বিব্রত ভুক্তভোগী ও তার পরিবার।

বিজ্ঞ আদালতের ডিক্রির কাগজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ওমর আলী তালুকদার ও চিত্তরঞ্জন ঢালি উভয় পক্ষ স্থানীয় গন্য মান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যস্থতায় এবং ভবিষ্যৎ মামলা মোকদ্দমা এড়াইবার জন্য স্থানীয়ভাবে বিরোধ মিমাংসা করিয়া বিজ্ঞ আদালতে ১৯৮৮ সালে একটি ছোলেনামা দাখিল করেন।ছোলেনামার শর্তানুসারে ওমর আলী তালুকদার গং ১৯৬৭ ও ১৯৬৮ সালের ৪ খন্ড কবলা দলিল মূলে ২ একর ৫২ শতাংশ ভূমি ভোগদখল করিবেন।

ভুক্তভোগী ওমর আলীর অভিযোগ, আমি অন্ধ মানুষ। ১৯৯৯ সালে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে স্থানীয় কিচ্ছু দুর্বৃত্ত আমার দু’টি চোখ উপড়ে ফেলে।এ ঘটনায় শাহাবুদ্দিন তালুকদার ও নূরুল হক প্যাদা নামে ২ আসামীর ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত। ওই সময় এ ঘটনায় চিত্তরঞ্জন ঢালিরও উসকানি ছিল। বর্তমানে চিত্তরঞ্জন ঢালি একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করা শুরু করেছে। আমি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

এ ব্যাপারে চিত্তরঞ্জন ঢালি জানান,পিরোজপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (রাজস্ব) কার্যালয়ে আপিল চলমান আছে। বিরোধীয় জমির খতিয়ান নাম্বার কত জানতে চাইলে তিনি জানান,আমার মনে নেই,কাগজ দেখে বলতে হবে।