মঠবাড়িয়া প্রধান শিক্ষকের পরকিয়া প্রেম অতঃপর বিয়ে: ভেঙে গেছে ৩টি সংসার
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ৫৬ নং মডেল সরকারী প্রাথলমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা তামান্না নুসরাতের সাথে প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলামের পরকিয়া প্রেম অতঃপর বিয়ের বিষয়টি এলাকায় তীব্র সমালোচনারা সৃষ্টি হয়েছে। পূর্বের সংসার ভেঙে স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া সন্তান রেখে পড়ন্ত বয়সে তাদের এমন কর্মকান্ডে বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। এতে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন মঠবাড়িয়ার নানা শ্রেনী পেশার মানুষ।
জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলামের ১ম স্ত্রী শামীমা নারগিস বাগেরহাট জেলার একটি কলেজের সহকারী অধ্যাপক।ওই সংসারে তার এ বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থী এক ছেলে এবং ৪র্থ শ্রেনীতে পড়ুয়া এক মেয়ে রয়েছে। ৪/৫ বছর ধরে পরকিয়ায় আসক্ত হয়ে ১ম সংসারের খোঁজ খবর রাখেন না তিনি।হঠাৎ করেই গত বছরের এপ্রিল মাসে ১ম স্ত্রীকে তালাক পাঠানো হয় । ১ম স্ত্রীর কাছে এটি ছিল বিনা মেঘে বজ্রপাতের মত ঘটনা।অদ্যবধি পর্যন্ত ওই তালাক গ্রহন করেন নি ১ম স্ত্রী শামিমা নারগিস। এরমধ্যে পরকীয়া প্রেমিকার সাথে সম্পর্কের অবনতি হলে অনেকটা ক্ষুব্ধ হয়ে গত বছরের অক্টোবর মাসে সালমা আক্তার নামে এক নারীকে ২য় বিবাহ করেন মাইনুল।
এরপর পরকিয়া প্রেমিকার সাথে সম্পর্কের উন্নতি হলে মাত্র ৩ মাস ২০ দিনের মাথায় ২য় স্ত্রীকেও তালাক দেন তিনি।এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে তাকে তালাক দিয়ে ২৯ মার্চ পরকিয়া প্রেমিকা তামান্না নুসরাতকে বিয়ে করেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তামান্না নুসরাত পিরোজপুর – ৩ (মঠবাড়িয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ডাঃ রুস্তম আলী ফরাজীর ছোট ভাই হিরু ফরাজীর স্ত্রী। স্ত্রীকে হারিয়ে হিরু ফরাজী অর্ধ পাগল হয়ে বাড়ির সামনে একটি এতিমখানায় থাকেন।মায়ের পরকিয়ার অভিশাপের শিকার কলেজ পড়ুয়া ছেলেও। দীর্ঘদিন একই প্রতিষ্ঠানে চাকরী করাকালীন সময়ে প্রেম,পরকিয়া ও বিয়ে নিয়ে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত হয়েছে ৫৬ নং মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলাম এবং সহকারী শিক্ষিকা তামান্না নুসরাত।
শামিমা নারগিস জানান,কয়েক বছর ধরে আমার স্বামী মাইনুল ইসলাম আমাদের কোন খোঁজ খবর না নিয়ে আমার অনুমতি ছাড়াই একের পর এক বিয়ে করেই যাচ্ছে। আমি প্রথমে বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে অবগত করে আইনের আশ্রয় নেব।তিনি আরও জানান,আমার স্বামী ২য় বিবাহ করার পর তামান্না নুসরাত আমার সাথে যোগাযোগ করে এবং ২য় বিবাহ ভাঙার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে বলে।দু’টি বাচ্চা রেখে ২য় বিবাহ করায় অনেক আবেগ অনুভূতিও প্রকাশ করেন তিনি। অথচ সেই তামান্না নুসরাতই আজ আমার স্বামীর ৩য় স্ত্রী।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কুমারেশ চন্দ্র গাছি এবং মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল কাইয়ূম জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলাম জানান,১ম স্ত্রী ও ২য় স্ত্রীকে তালাক দিয়ে তামান্না নুসরাতে বিবাহ করেছি।তামান্না নুসরাতও তার পূর্বের স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছে। আমরা একই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন