মঠবাড়িয়ায় ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং, জোয়ার ও বৃষ্টির পানিতে ঘেরের মাছ ভেসে ক্ষতিগ্রস্থ খামারী

ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে জোয়ার ও বৃষ্টির পানিতে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার উত্তর সোনাখালী গ্রামের মোশারেফ পহলানের ঘের তলিয়ে যাওয়ায় লক্ষাধিক টাকার মাছ ভেসে গেছে। এ বছরেই নতুন মাছ চাষ শুরু করে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে হোঁচট খেয়েছেন তিনি।হঠাৎ করেই আর্থিক লোকসানের মুখে পড়েছেন এই মাছ চাষী।

ক্ষতিগ্রস্ত মাছ চাষী মোশারেফ পহলান আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড উত্তর সোনাখালী গ্রামের পনু পহলানের পুত্র।

বিভিন্নভাবে ঋণ নিয়ে এ বছর মাছ চাষ শুরু করেন তিনি। ৫ মাসের মধ্যেই প্রতিটি মাছের পোনা ৪০০-৫০০ গ্রাম ওজনের হয়েছিল। ঘেরের চারপাশে নেট জাল দিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি ঘেরটির। মৎস্য বিভাগ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হবে কিনা এবং তালিকাভুক্ত হয়ে নগদ সহায়তা পাবেন কিনা তা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা।

ক্ষতিগ্রস্থ মোশারেফ পহলান বলেন, এ বছর বাড়ির সামনে ৭০ শতাংশ জমিতে একটি মাছের ঘের করেছি। যশোর থেকে ৮ লাখ পিস কার্প জাতীয় মাছের পোনা সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা ছেড়েছি। ১ম পর্যায়ে দৈনিক ১ হাজার টাকার এবং ২য় পর্যায়ে দৈনিক ২ হাজার টাকার মাছের খাবার ঘেরে দিতে হয়েছে। তাতে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা শুধু খাবারেই খরচ হয়েছে। সব মিলিয়ে আমার ৪ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারবো কিনা সন্দেহ।

স্থানীয় ইউপি সদস্য হারুন জোমাদ্দার জানান,এলাকার অনেকেরই পুকুর এবং ঘের তলিয়ে মাছ ভেসে গেছে। মোশারেফ পহলানের ঘেরটিও জোয়ার ও বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে এবং পাড়ের একাংশ ভেঙে গিয়ে মাছ ভেসে গেছে। মৎস্য বিভাগ থেকে কোন তালিকা চাইলে এলাকার সকল ক্ষতিগ্রস্ত সহ মোশারেফ পহলানের নামও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অলিউডর রহমান জানান,সিত্রাং ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে মঠবাড়িয়া উপজেলায় ৪ লক্ষাধিক টাকার মাছ ভেসে গেছে এবং ২ লক্ষ টাকার মাছ চাষের সাথে জড়িত অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। মৎস্য বিভাগ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হবে কিনা জানি না। তবে ক্ষতিগ্রস্তরা আবেদন করলে আবেদন জমা রাখা হবে।