মধ্যপ্রাচ্যকে আমরাই তৈরি করেছি, আমার দাবি ভুল নয় : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ‘উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদভুক্ত (জিসিসি) আরব দেশগুলো ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, আমরা মধ্যপ্রাচ্যকে তৈরি করেছি। আমি মনে করি, আমার দাবি ভুল নয়।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখন এক কোটিরও বেশি বাংলাদেশি কর্মরত আছেন। তাদের অবদান অস্বীকার করার কোনো অবকাশ নেই। তারা দেশের অর্থনীতিতেও অবদান রাখছেন।’
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের জন্য নিরাপদ ও বৈধ অভিবাসনের প্রয়োজন আছে। অভিবাসনের ক্ষেত্রে খরচ একটি বড় বাধা। সমীক্ষা থেকে জানা যায়, বৈশ্বিক জিডিপি দ্বিগুণ হতে পারত যদি সবাই অভিবাসনের সুযোগ পেত। বৈশ্বিক টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য আরও অভিবাসনের প্রয়োজন আছে।’
তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি অভিবাসীদের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। লকডাউন, বিধিনিষেধ আয়-রোজগারের ওপরও প্রভাব ফেলেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বেকারত্ব এবং বকেয়া বেতন। গত মার্চে মধ্যপ্রাচ্যে গিয়েছিলাম। তখন আসলেই খুব সংকটময় সময় ছিল। যদিও এখন তা অনেকটা কাটিয়ে উঠেছে তারা। বাংলাদেশ সবসময়ই অভিবাসন খাতে চ্যালেঞ্জ উত্তরণে বিশ্ব ফোরামে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে। অভিবাসনকে আমরা জাতীয় নীতিমালার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছি। আমরা এখন মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের নিয়ে কাজ করছি। আমরা চাই– তাদের নিরাপদ, টেকসই এবং নিয়মিত প্রত্যাবাসন হোক।’
শাহরিয়ার আলম আরও বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছি, যাতে আমাদের অভিবাসী কর্মীরা নিরাপদ পরিবেশে কাজ করতে পারে। করোনা মহামারির মধ্যে আমাদের দূতাবাস এবং হাইকমিশনগুলো মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে কাজ করেছে, যাতে বাংলাদেশিদের জোরপূর্বক দেশে ফেরত পাঠানো না হয়।’
এ সময় করোনায় প্রবাসফেরতদের জন্য আর্থিক তহবিলের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, করোনায় বিদেশফেরত কর্মীদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। শুধু প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে সেই ঋণ বিতরণ করা হচ্ছে। তবে প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংকের শাখা উপজেলা পর্যায়ে নেই, তাই ঋণ পেতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।
রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিট (রামরু) এ কর্মশালার আয়োজন করে।এতে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান, রামরুর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার ড. তাসনীম সিদ্দিকী, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ড. মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক উপস্থিত ছিলেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন