মসজিদকে পানশালা ও অনুষ্ঠানস্থল বানালো ইসরাইল

ইসরাইলের সাফেদ পৌরসভা ঐতিহাসিক আল-আহমার মসজিদকে একটি পানশালা ও অনুষ্ঠান আয়োজনের স্থানে রূপান্তরিত করেছে বলে জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা মিডল ইস্ট মনিটর।

স্থানীয় একটি পত্রিকার উদ্ধৃতি দিয়ে বৃহস্পতিবার সংস্থাটি জানায়, আরব শহরের অন্যতম ঐতিহাসিক মসজিদটি ১৯৪৮ সালে দখল করে নিয়েছিল ইসরাইলিরা। প্রথমে ভবনটিকে একটি ইহুদি স্কুল বানানো হয়, পরে এটিকে লিকুদ দলের নির্বাচনী প্রচারণার কাজে ব্যবহার করা হয়। এরপর কিছুদিন এটি ছিল কাপড়ের গুদাম। শেষমেশ এটিকে বানানো হয় একটি নাইট ক্লাব।

লন্ডন প্রবাসী ফিলিস্তিনিদের পত্রিকা আল কুদস আল আরাবি জানায়, ইসরাইলি পৌরসভার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে এমন একটি প্রতিষ্ঠান মসজিদটিকে পানশালা ও বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজনের জায়গা বানিয়েছে। আল আহমার মসজিদের বদলে এর নাম রাখা হয়েছে খান আল আহমার।

সাফেদ ও তিবেরিস ইসলামিক নামের একটি সংস্থার সেক্রেটারি খাইর তাবারি বলেন, তিনি মসজিদটি ছেড়ে দেয়া এবং সেটিকে আবার তাদের কাছে ফিরিয়ে দিতে একটি অভিযোগের দায়ের করেছেন। ওই আবেদনের বিষয়ে নাজারাথের আদালতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি।

তিনি জানান, মসজিদটির মুসলিম মালিকানা প্রমাণে তিনি বিভিন্ন নথিপত্র সংযুক্ত করেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও জনপ্রিয় ব্যক্তিবর্গকেও মসজিদটি রক্ষায় সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

সাফেদে একসময় ১২ হাজার মুসলিম বসবাস করতেন। ১৯৪৮ সালে তাদেরকে জোর করে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়।

তাবারি জানান, মসজিদটিতে মুসলিমরা নামাজ পড়া ছাড়া অন্য সবাই সব কাজ করতে পারে।