মহাজোটেই আছে, মহাজোটেই থাকতে চায় জাতীয় পার্টি

সব দলের অংশগ্রহণে সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে ২০টি আসনে জয়লাভ করে সংসদে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে আবির্ভূত হওয়া জাতীয় পার্টি মহাজোটে থাকার বিষয়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তবে ভবিষ্যতে অবস্থা বুঝে ‘দেশের স্বার্থে’ কোন প্রয়োজন হলে তখন বিকল্প দেখা হতে পারে বলে জানাচ্ছেন দলটির নেতারা।

বুধবার ঢাকায় দলটির প্রেসিডিয়াম কমিটি ও নির্বাচিতদের একটি বৈঠক শেষে এই তথ্য জানিয়েছেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য জি এম কাদের।

মি. কাদের বলেন, ”নির্বাচনে মহাজোট গঠন করেই আমরা নির্বাচন করেছি, শরীকদের নির্বাচনী ইস্তেহার আমাদের অঙ্গীকার, সবকিছু মিলেমিশে জনগণের সামনে হাজির হয়েছিলাম।”

“তাই এককভাবে আমরা জোটের সঙ্গে আছি, একভাবেই থাকতে চাই।”

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন মহাজোট থেকে নির্বাচনে অংশ নেয় জাতীয় পার্টি, যদিও তাদের নির্বাচনী প্রতীক ছিল ভিন্ন।

জাতীয় পার্টি যদিও এর আগের সংসদে আনুষ্ঠানিক বিরোধী দলের ভূমিকায় ছিল, একই সঙ্গে তাদের দল থেকে কয়েকজনকে মন্ত্রীও করা হয়েছিল। সেই সংসদে তাদের মোট আসন ছিল ৩৪টি।

দলটির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা জানান, “চেয়ারম্যান (এরশাদ) ক্ষমতা দিয়েছেন যে, বিষয়টি যেহেতু পার্লামেন্টের বিষয়, তাই যারা পার্লামেন্টে নির্বাচিত হয়েছেন, তারাই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।”

এবার নির্বাচনে ২০টি আসনে জয় লাভ করে পার্লামেন্টের দ্বিতীয় বৃহত্তম দলে পরিণত হয়েছে দলটি। এবারো কি তারা মন্ত্রীপরিষদের অংশ হবেন?

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিএম কাদের বলছেন, ”পার্লামেন্টে যখন আমরা বসবো, তখন এসব বিষয় নিয়ে আলাপ হবে। মহাজোটের সঙ্গেও, আমাদের অন্যান্য শরীকদের সঙ্গে এসব বিষয়ে আলাপ হবে।”

“তখন সবাই মিলে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, সেটাই আমরা মেনে নেবো।”

কতজন মন্ত্রিত্ব নিতে পারেন, সাংবাদিকরা জানতে চাইলে মি. কাদের বলেন, ” এই বিষয়গুলো এখনো আমরা ঠিক করিনি। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে এগুলো ঠিক হবে।”

“কার কি রোল হবে, মন্ত্রিত্ব কয়জন হবে, হবে নাকি হবে না, এগুলো পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত হবে।”

সবদিকেই সবরকম সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।