মাছে-ভাতে বাঙালি হিসেবেই যেন আমরা থাকতে পারি : প্রধানমন্ত্রী

‘মিষ্টি পানির মাছ উৎপাদনে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পেরেছি’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আজকের এই উদ্যোগটা সফল হোক। আমরা মাছে-ভাতে বাঙালি। এই মাছে-ভাতে বাঙালি হিসেবেই যেন আমরা থাকতে পারি। ’

আজ রবিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২২’ উদযাপন এবং ‘জাতীয় মৎস্য পদক-২০২২’ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন তিনি।
‘সবচেয়ে নিরাপদ পুষ্টি পাওয়া যায় মাছ থেকে। যেটা মাংস থেকে হয় না। মাছের যে আবাসস্থল অর্থাৎ অভয়ারণ্য তৈরি করা- এগুলোর দিকে দৃষ্টি দিতে হবে।

পানির প্রবাহটা ভালো থাকা, পানি যাতে দূষণ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা। আমাদের যে চাহিদা সে চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি মাছ আমরা এখন উৎপাদন করতে পারি। ’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশ গড়ে তুলেছিলেন। সমুদ্রসীমা আইন করে দিয়ে যান তিনি।

জাতিসংঘ তখনও সমুদ্রসীমা আইন করেনি, জাতির পিতা করেছিলেন। পঁচাত্তরের পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে মিলিটারি ডিক্টেটররা, সমুদ্রসীমায় যে আমাদের অধিকার আছে সেটা তারা জানত কি না তারা কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আমরা যখন প্রথমবার ক্ষমতায় আসি তখন খোঁজ-খবর নিয়ে সমুদ্রসীমায় আমাদের অধিকার দাবি করি। ’
অনুষ্ঠানে মৎস্য খাতে বিশেষ অবদানের জন্য সাতটি প্রতিষ্ঠানকে স্বর্ণপদক দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে স্বর্ণপদক তুলে দেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক।