মাদারীপুর জেলার শিবচরের পদ্মানদীতে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের সময় মৎস কর্মকর্তা ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (২২ অক্টোবর) সকালে উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ঘাট সংলগ্ন পদ্মা নদীতে অভিযানকালে মৎস কর্মকর্তা ও পুলিশের উপর এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।

এসময় আহত হন শিবচর উপজেলা মৎস কর্মকর্তা ফেরদৌস ইবনে রহিমসহ নৌপুলিশের দুই সদস্য ও স্পিডবোট চালক। পরে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে এক জেলেকে আটককরাসহ ১০ লক্ষাধিক মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়।

শিবচর মৎস অফিস সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে অন্যান্য দিনের মতো মৎস অভিযানে যান নৌপুলিশের টিম নিয়ে উপজেলা মৎস কর্মকর্তা। কাঁঠালবাড়ী গোল চত্বর সংলগ্ন পদ্মানদীতে অভিযানে আসলে চারপাশ থেকে জেলেরা ঘিরে ফেলে অভিযানের টিমকে। এ সময় অসাধু জেলেরা ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ ধাওয়া করে। জেলেদের হামলায় আহত হয়েছেন মৎস কর্মকর্তা ফেরদৌস ইবনে রহিম, দুই পুলিশ সদস্য ও স্পিডবোটের চালক। এসময় জেলেরা স্পিডবোটেও ভাঙচুর করে। পরে খবর দেয়া হলে নৌপুলিশ, কোস্টকার্ড, র‍্যাব এর যৌথ অভিযান দুপুর পর্যন্ত চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে মালেক মোল্লা (৫৫) নামের এক জেলেকে আটক করে পুলিশ। জব্দ করা হয় দশ লক্ষাধিক মিটার কারেন্ট জাল।

চরজানাজাত নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহানুর আলী বলেন, সকালে মৎস কর্মকর্তা টিম নিয়ে অভিযানে গেলে জেলেরা তাদের ঘিরে ধরে হামলা চালায়। খবর পেয়ে নদীতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। কাঁঠালবাড়ী সংলগ্ন নদীতে দশ লক্ষ মিটারের বেশি জাল উদ্ধার করা হয়।
শিবচর মৎস কর্মকর্তা ফেরদৌস ইবনে রহিম বলেন, সকালে অভিযানে গেলে আমাদের উপর হামলা চালায় জেলেরা।

জেলেরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। আমিসহ মোট চারজন আহত হয়েছি। প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়া হয়েছে। এরপর হামলার স্থান ও আশেপাশে ফের অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিয়াজুল আলম এর নেতৃত্বে র‍্যাব, কোষ্টগার্ড, পুলিশ অভিযানে অংশ নেয়।

ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করাসহ বিপুল পরিমান নিষিদ্ধ জাল জব্দ করা হয়। পরে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয় জাল। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।