মাদারীপুরে উচ্চাঙ্গ নৃত্যের প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ
মাদারীপুরে শেষ হলো তিনদিন ব্যাপী উচ্চাঙ্গ (কত্থক) নৃত্যের প্রশিক্ষণ কর্মশালা। স্বাপ্নিক নৃত্য বিকাশ এর ৫ম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদপত্র তুলে দেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক লায়লাতুল ফেরদৌস।
এসময় তিনি বলেন, আমাদের বাচ্চাদের মধ্যে অনেক প্রতিভা আছে, কিন্তু আমরা তাদের দেই না। অভিভাবক হিসেবে আমাদের অনেক সচেতনতার দরকার আছে। বর্তমান সোসাইটি যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা ইদানিং কিশোর গ্যাং দেখি। আসলে বাচ্চাদের শিক্ষার পাশাপাশি বিনোদনধর্মী অন্য যেকোন এক্সট্রা কারিকুলামের মধ্যে ব্যস্ত রাখি তাহলে তারা অনেক খানি নিতে পারে। তারই একটি প্রমাণ আজকের অনুষ্ঠানে দেখলাম।
বুধবার শুরু হয়ে শেষ শুক্রবার। এতে জেলার ৫টি উপজেলার শতাধিক প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝ থেকে যাচাই বাছাই করে ৩৪ জন কে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায়।
স্বাপ্নিক নৃত্য বিকাশের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আজিজুল ইসলাম স্বপন তত্ত্বাবধানে ও সাধারণ সম্পাদক সানজিদা ইসলাম ডলির সঞ্জালনায় পুরো অনুষ্ঠান সাজানো ছিল সংগীতের সপ্তস্বর দিয়ে। মূর্ত হয়ে ওঠে কোকিল, ময়ূর, হাতিসহ প্রকৃতির বিভিন্ন স্বরের ব্যঞ্জনা।
দেশের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে জাতীয় সংগীতের সাথে নৃত্য পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে দেশী ও বিদেশী সংগীতের তালে তালে মনোমুগদ্ধকর নৃত্য পরিবেশন করেন। এছাড়া হারিয়ে যাওয়া পুরনো গানের সাথে নৃত্য পরিবেশন করে ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়। শিল্পকলা একাডেমীর গ্যালারীতে দর্শকরা উপভোগ করেন এই অনুষ্ঠান।
নাচ শুধু বিনোদনের জন্য নয়, নাচও হতে পারে সমাজ গড়ার একটি অন্যতম মাধ্যম স্লোগানে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত জেল সুপার তুহিন কান্তি খান, ডেপুটি জেলার আসমা আক্তার, প্রশিক্ষক জাহিদ হাসান শোভন, আবৃত্তি শিল্পী ও সাংবাদিক আঞ্জুমারা জুলিয়া, প্রশিক্ষণার্থী, অভিভাবক সহ অন্যরা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন