মাদারীপুরে শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী চায়না শেখ
চায়না শেখ ১৯৯৫ সালে গাঁয়ের মেয়ে হিসেবে মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের দেবরাজ গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম তার। পিতা মরহুম বজলু শেখ পেশায় একজন ব্যবসায়ী। মাতা রানু বেগম গৃহিনী। চার বোন ও এক ভাইয়ের সংসারে জীবন সংগ্রাম করে বড় হয়েছেন। পারিবারিক আর্থিক অস্বচ্ছলতার মধ্যদিয়ে অনেক পরিশ্রম করে পড়াশুনার গন্ডি শেষ করেছেন।
২০১১ সালে মস্তফাপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। সরকারি নাজিমউদ্দিন কলেজ থেকে ২০১৩ সালে উচ্চমাধ্যমিক, ২০১৬ সালে স্নাতক (পাস) এবং ২০১৯ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় বৃত্তিও পেয়েছেন এবং ছাত্র জীবনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মাদারীপুর জেলা শাখার একজন সংক্রিয় কর্মী ছিলেন।
রয়েছে যুব উন্নয়ন ও জেলা পরিষদ সহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার বেসিক কোর্স ও ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ সনদ। এছাড়াও রয়েছে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট থেকে উৎপাদন ব্যবস্থাপনা এবং পন্য উন্নয়ন ও ডিজাইন এবং জেলা পর্যায়ে বিসিক কর্তৃক উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, জাতীয় মহিলা সংস্থা কর্তৃক ব্লক বাটিক ও স্ক্রীন প্রিন্ট এবং খাদ্য প্রস্তুতকরণ, সংরক্ষণ ও সার্ভিসিং প্রশিক্ষণ। এছাড়াও টিটিসি কর্তৃক পেশাদার মটর ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ ও লাইসেন্সধারী।
জেলা প্রশাসন কর্তৃক স্বীকৃত ও মাদারীপুরের শীর্ষ কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান সিনহা কম্পিউটার ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবে এপযর্ন্ত ২ হাজার প্রশিক্ষণার্থীকে কম্পিউটার শিখিয়েছেন। এর মধ্যে সমাজে সুবিধাবঞ্চিত ও মেধাবী দুই শতাধিক প্রশিক্ষণার্থীকে বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দিয়েছেন এবং যা বর্তমানে চলমান রয়েছে। চায়না শেখ কম্পিউটার শিখিয়ে আর্থিক ভাবে লাভবান হয়েছেন। এছাড়াও কম্পিউটার শেখানোর পাশাপাশি লেখালেখি করছেন। তিনি জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাংবাদিকতাও করছেন। নিয়েছেন পিআইবি থেকে সাংবাদিকতায় বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ।
এছাড়াও বৈকালিন সময়ে নিম্নআয়ের পরিবারের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা কার্যক্রম পাঠশালার দায়িত্বে রয়েছেন। এদিকে পড়াশুনার পাশাপাশি পোশাক শিল্প ও মোবাইল সার্ভিসিং হাউজসহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে খন্ডকালীন সহকারী শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন। সাংবাদিক সংগঠনের মৈত্রী মিডিয়া সেন্টার ও উত্তর চিড়াইপাড়া যুব সংঘের সদস্য হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন।
২০১৫ সনে পারিবারিক ভাবে একই ইউনিয়নের উত্তর চিড়াইপাড়া গ্রামের আলহাজ্ব ডাক্তার মোঃ সিরাজুল হক সরদারের তৃতীয় পুত্র বিশিষ্ট সাংবাদিক ইমদাদুল হক মিলন এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বর্তমানে তিনি দুই সন্তানের জননী। পারিবারিক ভাবে সুখে শান্তিতে জীবন যাপন করছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন