মানবিক সংকট নিরসনের প্রকল্প আনছে ইউএসএআইডি

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও বিভিন্ন মানবিক সঙ্কট নিরসনে বিভিন্ন উদ্যোগ ও উদ্ভাবকদের সহয়তা প্রদানে শুরু হচ্ছে ‘এক্সেলেরেটিং ইনোভেশন ফর রেজিলিয়েন্স’।

সোমবার প্রকল্পটির উদ্বোধন করা হয়।

ইউএসএআইডির হাত ধরে শুরু হতে যাওয়া প্রকল্পটির নেতৃত্ব দিচ্ছে মার্কিন অলাভজনক প্রতিষ্ঠান দ্য গ্লোবাল নলেজ ইনিশিয়েটিভ (জিকেআই)।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রকল্পের উদ্দেশ্য, বাংলাদেশের মানবিক উদ্ভাবকদের জন্য একটি সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী ইনোভেশন ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা। যার মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন মানবিক প্রতিকুলতা ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় কাজ করছে এমন স্থানীয় উদ্ভাবন এবং উদ্ভাবকদের আর্থিক ও পরিচালনামুলক সহায়তা প্রদান করা হবে।

এ প্রকল্প বাস্তবায়নে তারা সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গবেষক, দেশি বিদেশি বিভিন্ন বিনিয়োগকারী সংস্থা ও উদ্ভাবকদের সম্পৃক্ত করে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময়ী বিভিন্ন উদ্ভাবন ও উদ্যোগকে সমর্থন করবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জিকেআই-এর সিইও সীমা প্যাটেল বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন উদ্ভাবনী সমাধান তৈরিতে উদ্ভাবকদের জন্য একটি উপযোগী পরিবেশ তৈরি করতে চাই। যা তৈরিতে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরী।

এতে আমি সকলের সাহায্য এবং সহযোগিতা কামনা করছি। বাংলাদেশের বিভিন্ন মানবিক সংকট ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ন্ত্রণে আমরা একটি দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই সমাধান বাস্তবায়নে দৃঢ় প্রত্যয়ী ।

টিনা জাবিন, ট্রুভালু এন্টারপ্রাইজের কৌশলগত উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ উইমেন ইনভেস্টমেন্ট নেটওয়ার্কের চেয়ারপার্সন, ইকবাল হাবিব, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবান ল্যাবের সহ-প্রতিষ্ঠাতা, পরিবেশকর্মী ও নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি, এবং কেরি ব্রাইন, পার্টনার, এসবিকে টেক ভেঞ্চারস বিশিষ্ট প্যানেলিস্টদের মধ্যে ছিলেন। প্যানেল ডিসকাশনটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ এঞ্জেলস নেটওয়ার্কের সিইও নির্ঝর রহমান।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বর্তমান ইনোভেশন ইকোসিস্টেমের বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভবনা নিয়ে উপস্থিত নেতৃবিন্দ তাদের ভাবনা ও মতামত ব্যক্ত করেন যা এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সাহায্য করবে।