নওগাঁর মান্দায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলা-ভাঙচুর-লুটপাট
নওগাঁর মান্দা উপজেলার কাশুপাড়া ইউনিয়নের কুলিহার মোড়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দোকানপাট ও বসতবাড়ি ভাংচুর, লুটপাট ও বাড়িতে নারীদের মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু বসদঘর ভাংচুর নয় মারপিট করে ক্ষান্ত হয়নি, ঘরের মধ্যে থেকে পোশাক এনে বাড়ির আঙ্গিনায় পুড়িয়ে ফেলেছে স্থানীয় প্রতিপক্ষরা।
লুটপাট ও দোকানপাট ভাঙচুর করে ওই বাড়ি থেকে সোনার অলংকার, নগদ টাকা দোকানের মালামাল নষ্ট করে নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক মালামাল লুট করে নিয়ে যায় হামলাকারীরা।
রবিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার সময় দিনদুপুরে প্রকাশ্যে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে মান্দা উপজেলার কুলিহার মোড়ে আঃ সাত্তারের দোকান ও বাড়িতে, ঘটনার একদিন অতিবাহিত হলেও থানায় কোনো মামলা হয়নি।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও পরিবারে লোকজন জানান প্রতিপক্ষ মোঃ হাফিজ উদ্দিনের মামলার ভুক্তভোগীরা জামিন নিতে গেলে কোনো পুরুষ লোক ওই বাড়িতে না তাকার সুবাদে, প্রতিপক্ষের হাফিজ উদ্দিন গংদের লোকজন দোকানে ঢুকে দোকানপাট ভাংচুর ও বাড়ির আসবাস পত্র তচনচ করে নগদ টাকা সোনার অলংকার লুটপাট করে নিয়ে যায়।
সাত্তার আলীর পুত্রবধূ মারধরের শিকার রজিনা খাতুন বলেন, সকাল ৯টার সময় হঠাৎ করে হাফিজ উদ্দিন, জুয়েল চৌধুরী, সোহেল রানার, নেতৃত্বে এলাকার ১৫-২০ জন যুবক আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে। বাড়িতে থাকা সকলকে এলোপাথাড়ি মারপিট শুরু করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানান, জমিজমা নিয়ে বিরোধ থাকায় দীর্ঘদিন ধরে একটি গ্রুপ সাত্তার আলীকে সায়েস্তা করার চেষ্টা করছিল। এবং ভুক্তভোগীদের উপর মামলা দিয়ে তারা জামিন নিতে গেলে তাদের দোকানপাট ও বাড়িতে হামলা চালিয়ে খয়ক্ষতি করে প্রতিপক্ষরা।
তবে হামলায় জড়িত নন দাবি করে অভিযুক্ত হাফিজ উদ্দিন, জুয়েল চৌধুরী, ও সোহেল রানা বলেন, আমরা ওদের দোকানপাটে ও বসতবাড়ি কোন হামলা চালায়নি আমাদের মামলা থেকে বাঁচার চেষ্টা তারা আমাদের উপর মিথ্যা অভিযোগ করেছেন ।
মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি নুরে আলম সিদ্দিক জানান, এই বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন