মার্কিন কংগ্রেস অভিবাসন সংস্কার পাস না করলে অর্থনৈতিক ‘বিপর্যয়’

কংগ্রেস অভিবাসন সংস্কার বিল পাস না করলে মার্কিন অর্থনীতিতে ‘বড় ধরনের বিপর্যয়’ নেমে আসবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন শ্রম মন্ত্রী মার্টি ওয়ালশ।

তিনি দাবি করেন, কংগ্রেস যদি দ্বিদলীয়ভাবে ‘সমন্বিত অভিবাসন সংস্কার’ প্যাকেজ পাস না করে তবে এটি অর্থনীতির জন্য একটি ‘বড় বিপর্যয়’ হবে। বাইডেন প্রশাসন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এই প্যাকেজ পাস করার আহ্বান জানিয়ে আসছে। ওয়ালশ বলেন, ‘আমাদের এখানে একটি দ্বিদলীয় সমাধান দরকার।

আমরা অভিবাসন সমস্যা সমাধান না করলে আমাদের অর্থনীতিতে আরও বড় বিপর্যয় ঘটবে। আমাদের আরও কর্মী দরকার, অভিবাসন না হলে আমরা তা পাব না। এর প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতে। বাইডেন প্রশাসন একটি সুইপিং ইমিগ্রেশন বিল পাসের আহ্বান জানানোর মধ্য দিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করে। কিন্তু রিপাবলিকানদের সমর্থনের অভাবে এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। রিপাবলিকানরা সীমান্ত নিরাপত্তা বিধানের অভাব এবং সীমানা সংকট বিতর্কের কারণে অবৈধ অভিবাসীদের জন্য সাধারণ ক্ষমা পাসের সময়কেও প্রত্যাখ্যান করেছে।

শুধু ২০২২ অর্থবছরে ২.৩ মিলিয়নেরও বেশি অভিবাসী সীমান্তে জড়ো হওয়ায় সংকট আরও বেড়েছে। এ কারণে রিপাবলিকান নেতারা সাধারণ ক্ষমা প্রত্যাখ্যান করেন এবং বলেন যে আগে সীমান্ত সুরক্ষিত করতে হবে। কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাটরা গত বছর এককভাবে একটি বাজেট রিকনসিলিয়েশন প্যাকেজ পাস করার চেষ্টা করেছিলেন। এই প্যাকেজের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সাধারণ ক্ষমা অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সংসদ সদস্যদের ভোটে তা অযোগ্য ঘোষণা এবং ওয়েস্ট ভারমন্টের ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর জো মানচিনের সমর্থন কেড়ে নেওয়ায় এ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। কিন্তু প্রশাসন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস থেকে শুরু করে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রী আলেজান্দ্রো মায়োরকাস অভিবাসন সংস্কার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

কমলা হ্যারিস গত মাসে বলেছেন, লাখ লাখ মানুষের নাগরিকত্ব পাওয়ার উপায় একটি শীর্ষ অগ্রাধিকার- এ বিষয়ে ‘কোনো প্রশ্ন নেই’। তিনি বলেন, ‘যারা এখানে রয়েছে এবং যারা নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আইনত যা প্রয়োজন তা করতে প্রস্তুত- তাদের জন্য আমাদের একটি আইন করার পরিকল্পনা করতে হবে।’ওয়ালশ বলেন, ব্যবসাগুলো কঠোর শ্রমবাজারের মধ্যে আরও কর্মীর জন্য চাপ দিচ্ছে। তবে তিনি স্বীকার করেছেন যে কীভাবে রিপাবলিকানরা সীমান্ত সংকটের শ্রমমন্ত্রী ওয়ালশ বলেন, ‘একটি পক্ষ সীমান্তের ছবি দেখাচ্ছে। অথচ আমি দেশের প্রতিটি জায়গায় গিয়েছি এবং ছোট-বড় অনেক ব্যবসার সাথে কথা বলেছি, তাদের প্রত্যেকেই বলছে আমাদের অভিবাসন সংস্কার দরকার।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সমন্বিত অভিবাসন সংস্কার প্রয়োজন। তারা আমাদের দেশে নাগরিকত্ব জন্য একটি উপায় এবং ভিসার জন্য আরও ভালো পথ তৈরি করতে চায়।’