মিয়ানমারে পান্না খনি থেকে ২৩ মরদেহ উদ্ধার

মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের একটি পান্না খনি এলাকায় ভূমিধসের ঘটনায় ২৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃষ্টিবিঘ্নিত এক দিনের উদ্ধার অভিযান শেষে সোমবার মৃতদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। দেশটির সরকারি এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ফরাসী সংবাদসংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, উদ্ধারকর্মীরা এখনো নিখোঁজ ৪ জনকে উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। যাদের মধ্যে অনেকেই দেশটির কাচিন রাজ্যের দূরবর্তী এলাকার সংখ্যালঘু রাওয়াং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অধিবাসী। দেশটির বিখ্যাত মাল্টিবিলিয়ন-ডলার শিল্প খনির প্রাণকেন্দ্র হিসেবে এই এলাকা পরিচিত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হপকান্ত রাজ্য সরকারের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, আমরা রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। যদি আবহাওয়া ভালো থাকে তাহলে সোমবার বাকি চারজনকে উদ্ধারের চেষ্টা করবো।

চলতি বছরে ভূমিধসে এই খনিতে অনেক মানুষের প্রাণহানি ঘটে। সর্বশেষ এই ভূমিধসের ঘটনায় দেশটির রাওয়াং নামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

দারিদ্র্য কবলিত কাচিন রাজ্যের হপকান্ত এলাকায় দেশটির প্রধান পান্না খনি অবস্থিত। চীন সীমান্তের কাছে কাচিনের এই অঞ্চলটিতে বিশ্বের সর্বোৎকৃষ্ট পান্না পাওয়া যায়।

তবে উত্তোলিত পান্নার অধিকাংশই চীন সীমান্ত দিয়ে পাচার হয়। এছাড়া পান্না খনি থেকে উপার্জিত অর্থের বেশিরভাগই বিভিন্ন ব্যক্তিগত ব্যবসায়ী ও সাবেক সামরিক শাসকদের পকেটে চলে যায়।