মিয়ানমার সহিংসতার ক্ষতচিহ্ন বয়ে বেড়াচ্ছে : পোপ

মিয়ানমার দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান সহিংসতার ক্ষতচিহ্ন বয়ে বেড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস।

বুধবার ইয়াঙ্গুনে লাখো খ্রিস্টভক্তের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত এক উন্মুক্ত প্রার্থনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও সব জাতিগোষ্ঠীকে মিলেমিশে থাকার আহ্বান জানান।

তবে এদিনও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিগত নিধনের শিকার সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের কথা উল্লেখ করেননি পোপ।

প্রার্থনা সভায় মানবজাতির কল্যাণ কামনা করে তিনি বলেন, প্রতিশোধ পরায়ণতা কখনও শান্তি বয়ে আনতে পারে না। ক্ষমা ও উদারতা যিশুখ্রিস্টের প্রকৃত শিক্ষা।

প্রার্থনা সভায় ইয়াঙ্গুনের শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাসহ সু চি প্রশাসনের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া সভায় অন্তত ২ লাখ মানুষ যোগ দেন।

এর আগে মঙ্গলবার মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চির সঙ্গে বৈঠক করেন পোপ।

সভায় পোপ বলেন, মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় সম্পদ নাগরিকরা, কিন্তু বেশ কিছু দিন ধরে তারা সংঘাত ও বর্বরতার শিকার। ফলে সমাজে বিভাজন সৃষ্টি হচ্ছে।

তবে সু চির সঙ্গে বৈঠকেও ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি ব্যবহার করেননি পোপ। মিয়ানমার সরকার ‘রোহিঙ্গা’ শব্দ ব্যবহার করে রোহিঙ্গাদের পরিচয় দেয়ার ঘোরবিরোধী।

রোহিঙ্গাদের প্রতি জাতিগত বৈষম্য ও নিপীড়ন চালানোয় সু চির সরকার অভিযুক্ত।

কিন্তু পোপের সঙ্গে বৈঠকে সু চি দাবি করেন, তার সরকার সবার জন্য শান্তি, নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় সচেষ্ট রয়েছে।

সু চির সঙ্গে বৈঠকের আগে দেশটির বৌদ্ধ, হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান ও ইহুদি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী ও ধর্মের অনুসারীদের মাঝে ঐক্যের ডাক দেন পোপ ফ্রান্সিস।