পঞ্চগড়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগীতায় ওয়ার্কশপ ফিরে পেল একটি পরিবার

পঞ্চগড় বাজার জেলা পরিষদের সরকারি জায়গায় মেসার্স মিলন ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ এর প্রোপাইটর মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা সামছুল হক।

মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর পর তার বড় ছেলে মোঃ ফারুখ হোসেন (৪৮), বৃদ্ধা দুই মাতা, পাঁচ ভাই ও তিন বোন এবং স্ত্রী সন্তান নিয়ে চরম অভাব অনটনে দিন যেতে শুরু করে। এই অবস্থায় পঞ্চগড় জেলা শহরের তেঁতুলিয়া রোড নিউ মৌচাক হোটেলের পূর্ব পাশে অবস্থিত জেলা পরিষদের সরকারি জায়গায় মেসার্স মিলন ইনঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ সুনামের সহিত ছোট ভাইদের নিয়ে দীর্ঘ ৪৬ বছর যাবত ব্যবসা পরিচালনা করছেন।

প্রতিদিনের মত প্রতিষ্ঠানটি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ব্যবসা পরিচালনা করে থাকলে গত ১৮ অক্টোবর মঙ্গলবার অনুমান রাত ১০ টার সময় অজ্ঞাতনামা ৩০/৪০ জন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন সাথে দেশীয় অস্ত্র ছুড়ি, বর্লাম, লাঠি, রড নিয়ে আমার ওয়ার্কশপ দোকানে এসে মেশিন ও মালমাল ভাংচুর শুরু করে এ অবস্থায় বাধা প্রদান করলে এলোপাথারী মারপিট এবং শার্টের কলার ধরে দোকান হতে বের করে দেয়।

জীবন বাচাঁনোর তাগিদে আমারা সবাই দোকানে মালমাল ও টাকা পয়সা রেখে সরে যাই। এই সুযোগে তারা দোকানের ঝাপ বন্ধ এবং নতুন তালা লাগিয়ে দিয়ে অজ্ঞাত সন্ত্রসীরা হুমকি সরুপ বলে দোকান ঘরটি পুনরায় চালু করার চেষ্টা করলে মেরে ফেলবে এই বলে তারা স্থান থেকে চলে যায়। ঘটনার এক ঘন্টা পর তারা দোকানের সামনে ট্রাক্টর দিয়ে বালু ফেলে দোকানের মূল ফটকের চলাচলের জন্য বন্ধ করে দেয়।

এই অবস্থায় পরিবারটি মানবেতর জীবন যাপনে ব্যহত হওয়ায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগের পরিপেক্ষিতে সোমাবার দুপুরে প্রায় ১০ থেকে ১২ জন মুক্তিযোদ্ধা ও পঞ্চগড় সদর থানার পুলিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মিলন ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ দোকানটি উদ্ধার করে মৃত মুক্তিযোদ্ধা সামছুল হক তার সন্তানদেরকে বুঝিয়ে দেয়।

এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা বদিরুল ইসলাম তিনি বলেন, আমি জানি সামছুল হক ভাই তিনি সহযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন দীর্ঘ দিন পঞ্চগড় সুগার মিলে ওয়ার্কশপে চাকুরি করেছিলেন অবসরের পর মিলন ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ দোকান ঘরটি জেলা পরিষদের জায়গায় প্রায় ৪৬ বছর ধরে ইঞ্জিনিয়ারিং কাজ করে আসছিলেন তার মৃত্যুর পর সন্তান গুলো এই কাজ করে আসছিলো। কে বা কাহারা দোকানঘরটি অবৈধ ভাবে বন্ধ করে দিয়েছিল আমরা কয়েক জন মুক্তিযোদ্ধার ও পুলিশের সহযোগীতায় দোকানটি পুনরায় খুলে দেওয়া হল।