মুজিব বর্ষে শিক্ষক জাতীয়করণের দাবিতে সাতক্ষীরায় সমাবেশ

‘মুজিব জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে শিক্ষক জাতীয়করণের ঘোষণা আসবেই। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষকদের শেষ আশ্রয়স্থল। প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে শতভাগ উৎসবভাতা প্রদানের বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।’

রবিবার (১৪ মার্চ) সাতক্ষীরা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা দর্শন, করতে হবে জাতীয়করণ’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যে মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও শিক্ষক সমাবেশে বক্তারা এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি সাতক্ষীরা জেলা শাখা আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, ‘স্বাধীনতা অর্জনের পর স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পঁচিশ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে অনেক আগেই বেসরকারি শিক্ষকদেরও চাকরি জাতীয়করণের দাবি পূরণ হয়ে যেতো। তাই এই মুজিববর্ষে বেসরকারি শিক্ষকদের একমাত্র প্রত্যাশা শিক্ষা জাতীয়করণ। দেশে ৩৯ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা জাতীয়করণের দাবি নিয়ে সরকারের দিকে তাকিয়ে আছে।’

সরকার শিক্ষকদের সেই দাবি পূরণে উদ্যোগ নিবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন বক্তারা।

বক্তারা আরো বলেন, ‘রাজপথে আন্দোলন ছাড়া দাবি আদায় হবে না।’

বেসরকারি শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণ না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভপতি এমএ কাশেমের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় অতিরিক্ত মহাসচিব অরূপ সাহার পরিচালনায় ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বিএম শামসুল হকের সার্বিক সহযোগিতায় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রীয় সভাপতি নজরুল ইসলাম সমাবেশের উদ্বোধন করেন।

বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাংগাঠনিক সম্পাদক ঝরনা বিশ্বাস, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. জাহিদুর রহমান, শিক্ষক নেতা এনামুল হক, আব্দুল হক, শাহজাহান আলী, এমাদুল ইসলাম দুলু, আমিনুর রহমান, বাবলুর রহমান, দিপঙ্কর বিশ্বাস, আবুল কাশেম, মনোরঞ্জন মন্ডল প্রমুখ।

সমাবেশে সহস্রাধিক শিক্ষক-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।