ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন

মোদি-সোনিয়া-মমতাসহ বহু ভিআইপি চীনা নজরদারিতে!

সীমান্ত নিয়ে চরম উত্তেজনা চলছে ভারত ও চীনের মধ্যে। এমনকি এই উত্তেজনা মুখোমুখি সংঘর্ষে পর্যন্ত গড়ায়। এতে নিহত হয় ২০ জন ভারতীয় সেনা সদস্য। এরপর সেই উত্তেজনা যুদ্ধ পরিস্থিতিতেও রূপ নেয়।

উভয় দেশই সীমান্তে সেনা বহর বৃদ্ধির পাশাপাশি মোতায়েন করে ভারী অস্ত্রশস্ত্র ও যুদ্ধবিমান।

এর মধ্যেই প্রকাশ্যে এল চাঞ্চলক্যর তথ্য।
ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও তাদের পরিবারের সদস্যসহ বহু গণ্যমান্যের ওপর নজরদারি চালাচ্ছে চীন।

এমনকি তালিকায় নাম রয়েছে পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিরও।

প্রায় ১০ হাজার গণ্যমান্য ভারতীয় নাগরিক ও সংস্থার ওপর এই নজরদারি চালাচ্ছে চীন।

চীনা সরকার ও চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সংযুক্ত শেনজেন ভিত্তিক প্রযুক্তি সংস্থা এই নজরদারির কাজ করছে। ‘হাইব্রিড ওয়ারফেয়ার’ এবং ‘চীনা জাতির মহান পুনর্জাগরণের’ লক্ষ্যেই এই কাজ করা হচ্ছে।

চাঞ্চলক্যর এই খবর উঠেছে ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ এর অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে।

জানা গেছে, চীনের নজরে রয়েছে ভারতের একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ১৫ অফিসার, সিডিএ বিপিন রাওয়াত, দেশের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে-সহ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরাও।

এছাড়াও ওই তালিকায় রয়েছেন লোকপালের বিচারপতি, ক্যাগ প্রধান জি সি মুর্মু, শিল্পপতি রতন টাটা, গৌতম আদানি, বিনিয়োগকারী নিপুন মেহেরা, ভারত পে’র প্রতিষ্ঠাতা-সহ ভারতের বিশিষ্ট শিল্পপতিরা।

ভারতেক রাজনৈতিক, সরকারি প্রতিষ্ঠান বা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের প্রথম সারির ব্যক্তিত্বরাই শুধু নন, নজরদারির তালিকায় রয়েছেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গও।
আমলা, বিচারপতি, বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ থেকে শুরু করে চীনা নজরদারিতে রয়েছেন সাংবাদিক, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, সামাজিক অধিকারের আন্দোলনকারীরাও।
এমনকি, শতাধিক অর্থনৈতিক অপরাধ, দুর্নীতি, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ, মাদক-সোনা ও অস্ত্র পাচারকারীও চীনা নজরদারির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

খেলাধুলা, সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের মধ্যে তালিকায় নাম রয়েছে সাবেক তারকা ক্রিকেটার শচিন টেন্ডুলকার, চলচ্চিত্র পরিচালক শ্যাম বেনগাল, ক্ল্যাসিকাল ডান্সার সোনাল মানসিং, সাবেক অকাল তখত জেঠেদার গুরুবচন সিং, চার্চের বেশ কিছু বিশপ এবং আর্চবিশপ, রাধে মা (সুখউইন্ডার কাউর), দ্বিতীয়বারের মতো শিরোমণি গুরুদ্বার নিবন্ধ কমিটিতে নির্বাচিত প্রথম নারী জগির কাউর এবং নিরঙ্কারি মিশনের হরদেব সিংয়ের।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস