যমুনায় অবৈধ বালি উত্তোলন ব্যবসায়ীদের আধিপত্য বিস্তারে সংঘর্ষ আহত ৬, আটক ৯!
যমুনা নদী হতে অবৈধ বালি উত্তোলন ব্যবসায়ীদের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ইউপি সদস্যসহ ৬ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ৯ জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বেতিল বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও মহেশপুর গ্রামের লাল মিয়া। তাকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাসখানেক ধরে বেলকুচি উপজেলার বড়ধুল ইউনিয়নের যমুনা নদীর বেলির চরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে মান্নান ফকির গ্রুপের লোকজন। তাদের সাথে জড়িত এলাকার চিন্থিত সন্ত্রাসীরা। এজন্য অপর লালমিয়া মেম্বার গ্রুপের সাথে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কিছু দিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। রবিবার বিকালে লাল মিয়া মেম্বারের সাথে মান্নান ফকির গ্রুপের পিচ্চি হাফিজের সাথে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে পিচ্চি হাফিজের লোকজন অতর্কিত হামলা চালায়। প্রতিরোধ করতে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে লাল মিয়া মেম্বার, সোহানসহ ৬ জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং উভপক্ষের ৯ জনকে আটক করেছে।
ইউপি সদস্য লাল মিয়া বলেন, বালির ব্যবসা নিয়ে যুবলীগ নেতা সন্ত্রাসী পিচ্চি হাফিজের সাথে প্রথমে তর্ক-বিতর্ক হয়। পরে সন্ত্রাসী গডফাদার মান্নান ফকিরের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
অপরদিকে মান্নান ফকির বলেন, সংঘর্ষের কোন ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই। আমি অকশনে বালি ক্রয় করে সেগুলো বিক্রি করছি। শুনেছি বেতিল বাজারে লাল মিয়া আমাকে গালিগালাজ করেছে। এ সময় কতিপয় কিছু ভ্যান চালক প্রতিবাদ করেছে।
বেলকুচি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বেগম আশানুর বিশ্বাস বলেন, মান্নান ফকির, লাল মিয়া ও হাফিজ এরা সবাই বর্তমান এমপির নির্দেশে তার ছত্রছায়ায় এই ভাবে আমাদের উপজেলার বড়ধুল থেকে অবৈধ ভাবে অবাধে বালি উত্তোলন করছে। এদের বাধা দিলে এমপি পুলিশ দিয়ে সাধারন মানুষকে নানা ভাবে হয়রানি করেন। আজ তারা নিজেদের ভাগ বাটোয়ারা এবং আধিপত্য বিস্তারে সংঘর্ষে মেতেছে। দ্রুত এই বালি উত্তোলন বন্ধ না হলে বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে বেশ কিছুদিন ধরে অবৈধ বালি ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসলেও স্থানীয় প্রশাসন কোন পদক্ষেপ নেয়নি। যে কারণেই এ সংঘর্ষ হয়েছে। আগামীতে যদি নদী হতে অবৈধ বালু উত্তোলন ব্যবসা বন্ধ না করা যায়, তাহলে হতাহতের ঘটনা আরো বাড়বে বলে ধারণা করছে স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান জানান, বেতিল বাজারের মধ্যে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। ঘটনাস্থল থেকে দুই গ্রুপের ৯ জনকে আটক করা হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন