যশোরের ঝিকরগাছায় বিনামূল্যের ‘পুষ্টি বাগানে’ উপকৃত ১৭৮ গ্রামের মানুষ

সরকারের পরিকল্পনা ও কৃষি বিভাগের বাস্তবায়নে কৃষিতে ঘটে চলেছে নীরব বিপ্লব। একের পর এক সাফল্যে কৃষি হচ্ছে সমৃদ্ধ।

যশোরের ঝিকরগাছা কৃষি বিভাগের প্রচেষ্টায় ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে “অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাাপন’ প্রকল্পের মাধ্যমে বছর ব্যাপী পারিবারিক পুষ্টি নিশ্চিত করতে পারছেন উপজেলার ১৭৮ টি গ্রামের প্রায় অর্ধ সহস্রাধিক পরিবার।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে মোট ৭১০ টি পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাাপন করা হয়েছে । অনাবাদী দেড় শতক জমিতে এ পুষ্টি বাগানের মাধ্যমে পরিবার প্রতি ১২-১৫ রকমের সবজি বীজ, ৫ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি ডিএপি, ১০ কেজি পটাশ, ১০০ কেজি ভার্মি কম্পোস্ট, ৫ কেজি জিপসাম, ১ টি গার্ডেন নেট, ১ টি পানি দেওয়ার ঝাঝরি ও বীজ সংরক্ষণের ১ টি পাত্র বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও মোট ৩১০ টি পারিবারিক পুষ্টি বাগান পুনঃ স্থাাপন করা হয়েছে।

এভাবে প্রতি বছর অনাবাদী প্রায় ৩৫-৪০ বিঘা জমি চাষের আওতায় আনা সম্ভব হচ্ছে।

বোধখানা ব্লকের বোধখানা গ্রামের উপকারভোগী কৃষক সাজ্জাদুল বলেন, ‘কৃষি অফিস থেকে অনেক রকম বীজ সার দিয়েছে। ট্রেনিং দিয়েছে। এখন সারা বছর প্রায় আমাদের সবজি কেনাই লাগেনা।’

নাভারণ ব্লকের কলাগাছী গ্রামের উপকারভোগী রেজওয়ান হক জানান, ‘সরকার আমাদের অনেক কিছু দিয়েছে।এখন সারা বছর অনেক তরকারী কিনে খাওয়া লাগেনা।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদী না থাকে সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাাপনে প্রস্তাবিত খামারের মডেল এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে একজন কৃষক সারা বছরই খামার থেকে কিছু না কিছু পাবেনই। একটি পরিবারের জন্য এ মডেলটি যথেষ্ট।’