কাজী জাফরউল্লাহকে হ্যাটট্রিক হারিয়ে বহিষ্কার করে উন্নয়ন আমরা করব: নিক্সন চৌধুরী

নিক্সন চৌধুরী বলেন, ‘আমি কাজী সাহেবকে বলতে চাই, সাড়ে চার বছর আপনি কই ছিলেন। আপনি বলে প্রেসিডিয়াম মেম্বার, আপনি অনেক ক্ষমতাবান লোক, এ ক্ষমতা দিয়ে এলাকার মানুষের জন্য কী করছেন। আপনার ক্ষমতা কোনোদিন উন্নয়নে ব্যবহার করেন নাই, আপনার ক্ষমতা শুধু নির্বাচনে ব্যবহার করেন। মানুষ আপনাকে দুই বার লাল কার্ড দেখাইছে। আপনার লজ্জা সরম বলতে কিছু নাই। আগামীতে তৃতীয় বারের মতো একটি লাল কার্ড খাওয়ার জন্য আপনি আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমার জীবনে চাওয়ার কিছু নাই। আমার অর্জন কী জানেন। আমার অর্জন আপনারা। আজকে রাস্তা দিয়ে যেখানে যাই সেখানেই চার বছরের বাচ্চারা কয় নিক্সন যায়, এটাই আমার কামাই। তের চৌদ্দ বছরের ছেলেরা আমারে কয় দোস্ত কই যাচ্ছো, এটাই আমার কামাই। মুরুব্বীরা মাথায় হাত দিয়ে দোয়া করে দেয়, এটাই আমার কামাই। তাই আপনারা আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত থাকেন, আমরা নৌকা চাইব, যদি নৌকা না দেয়, আপনারা যে মার্কা দিবেন সেই মার্কায় নির্বাচন করব। কাজী জাফরউল্লাহকে তৃতীয় বারের মতো হারিয়ে হ্যাটট্রিক করে এই তিন উপজেলা থেকে বহিষ্কার করে এই এলাকার উন্নয়ন আমরা করব।’

তিনি বলেন, ‘আমার হৃদয় ভরে গেছে, মন ভরে গেছে। আমাদের জীবনের সবচেয়ে আনন্দের একটি দিন আজ। সারাদিন বৃষ্টি হয়েছে। তারপরও আপনারা বৃষ্টি মাথায় নিয়ে চরাঞ্চল থেকে ট্রলারে ভালেবাসা দেখাতে এখানে এসেছেন। আমি আপনাদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন, আমাকে যে ঈমানি দায়িত্ব আপনারা দিয়েছেন আমি যেন আপনাদের উন্নয়ন, সেবা করে সেই ঈমানি দায়িত্ব পালন করতে পারি।’

জনসভায় বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন, চরভদ্রাসন উপজেলা চেয়ারম্যান মো: কাউসার হোসেন, সদরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী শফিকুর রহমান, ভাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমান, চরভদ্রাসন সদর ইউপি চেয়ারম্যান আজাদ খান, চর ঝাউকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান বদিরুজ্জামান মৃধা, জাহাঙ্গীর কবির ও যোগদানকৃত গাজীরটেক ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী প্রমুখ।
এর আগে দুপুর থেকেই বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বাদ্য নিয়ে খণ্ড খণ্ড মিছিল সহকারে জনসভাস্থলে হাজির হন নিক্সন চৌধুরীর সমর্থকরা। বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজারো মানুষের ঢল নামে জনসভায়।