যশোরের মনিরামপুরে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সিলিন্ডার গ্যাস, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা
যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ বাজারে সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। নির্ধারিত দামের চেয়ে প্রায় ২০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে।
অনেক ক্রেতা সিলিন্ডার গ্যাসের দাম শুনে হতাশ হচ্ছেন। কোনো দোকান থেকে সরকার কর্তৃক নির্ধারণ করা দামে ক্রেতারা সিলিন্ডার গ্যাস কিনতে পারছে না।
সরেজমিনে দেখা গেছে- রাজগঞ্জ বাজারের বিভিন্ন দোকানে সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে- সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী রান্নার গ্যাসের (এলপিজি) ১২ কেজির সিলিন্ডারের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ৪৯৮ টাকা। কিন্তু সরকারের এই ঘোষণা রাজগঞ্জ বাজারের গ্যাস সিলিন্ডারের দোকানদাররা কিছুতেই মানছে না। যার কারণে অতিরিক্ত দাম দিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে যেয়ে হতাশ হচ্ছেন ক্রেতারা।
রাজগঞ্জ বাজারের বিভিন্ন সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রির দোকানে গিয়ে দেখা যায়- প্রতি সিলিন্ডার ১৬০০-১৬৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা সরকার নির্ধারিত দরের চেয়ে প্রায় ২০০ টাকা বেশী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন গ্যাসের দোকানদার জানিয়েছেন- সরকার সিলিন্ডার গ্যাসের খুচরা দাম নির্ধারণ করলেও, এজেন্টরা বেশি নিচ্ছে। তাই আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। সরকার কতো টাকা নির্ধারণ করেছে তা আমাদের জানা আছে। এই বিক্রেতা আরও বলেন- সরকার নির্ধারিত দরে কোথাও গ্যাস পাবেন না। আমরা যেভাবে পাইকারী দরে এনেছি, ঠিক সেভাবেই বিক্রি করছি।
এদিকে সরকার নির্ধারিত দরে গ্যাস না পাওয়ায় অনেক ক্রেতাই হতাশা প্রকাশ করেছেন।
রাজগঞ্জ হাইস্কুলের শিক্ষক মোঃ কামরুজ্জামান বলেন- গ্যাস কিনতে যেয়ে অবাক হয়েছি। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে অন্তত ২০০ টাকা বেশী নিচ্ছে দোকানদাররা। যা আমাদের জন্য হতাশার বিষয়। এটি মেনে নেওয়া যায় না। বিষয়টি প্রশাসনের নজরদারিতে আনা প্রয়োজন।
সেলিম হোসেন নামের একজন বলেন- এদেশে কোনো জিনিসপত্রের দাম ঠিক নেই। সরকার বলে এক রকম, দোকানদার বলে আরেক রকম। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি আরও বলেন- জিনিসের দাম কমলে, সেটা দোকানে আসে না কিন্তু যে জিনিসের দাম বাড়ে, সেটা দোকানে চলে আসে দ্রুত। যে কারণে ভোক্তারা প্রতিনিয়ত ঠকছে।
এদিকে সচেতন নাগরিক সমাজ বলছেন- সরকার নির্ধারণ করা দামে জিসিনপত্র বিক্রি না করা, এটা রীতিমতো দেশ বিরোধী আচরন। সরকারের ভাবমুর্তি নষ্ট করার পায়তারা। এটার বিরুদ্ধে প্রশাসনের প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন