যশোরে জমি জালিয়াতির অভিযোগে সংবাদ সন্মেলন
জাল-জালিয়াতের মাধ্যমে জমি আত্মসাৎ এর অভিযোগ এনে জামাই মুসলিম উদ্দিন পাপ্পু’র বিরুদ্ধে সংবাদ সন্মেলন করেছেন যশোর জেলার শার্শা উপজেলার বেনাপোল পোর্টথানাধীন ভবারবেড় গ্রামের শ্বশুর রবিউল ইসলাম কালু।
মঙ্গলবার (২৩ই আগষ্ট) দুপুর ১২ টায় প্রেসক্লাব যশোরের সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে এই সংবাদ সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সন্মেলনে শশুর রবিউল ইসলাম কালু বলেন, “আমার নিজ নামীয় জমি ৪৮নং বেনাপোল মৌজার এস এ খতিয়ান নং-২৭৩, আর এস খং নং-৭২৮, নামপত্তন খং নং-১৩৫৯, এস এ দাগ নং-৬০১, আর এস দাগ নং-৮৮৪ জমির পরিমান-০৫ শতক ও ৪২ নং বোয়ালিয়া মৌজার খতিয়ান নং ১৫ ও ১৬, এস এ খং নং ১৪৪৯, আর এস দাগ ৩৩২১ ও ৩৩২২ দাগের ১৪২৫ শতক বিল জমি আমি আমার পুত্র ইকবাল হোসেনের নামে রেজিস্ট্রী করে দেই। আমার কণ্যা সন্তান মোছাঃ লাভলী আক্তার, স্বামী-মুসলিম উদ্দিন পাপ্পু’র নাম উল্লিখিত জমিতে অন্তর্ভূক্ত করি নাই বা রেজিস্ট্রি করে দেয় নাই। শার্শা সাবরেজিস্টার কর্তৃক যে অবিকল নকল দলিল সরবরাহ করা হয় (যা আমার হস্তগত হয়েছে) সেই দলিলের গ্রহিতা শুধুমাত্র আমার ছেলে ইকবাল হোসেনের নাম ছাড়া আমার কণ্যা সন্তানের নাম কিংবা কোন ছবি ছিল না। যার দলিল নং-৪১৭৯ তারিখ-১২/৬/২০১৬ ইং।
চাঞ্চল্যকর বিষয় হচ্ছে, ” আমার জালিয়াত জামাই মুসলিম উদ্দিন পাপ্পু মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে উল্লিখিত জমির দলিলে তার স্ত্রী মোছাঃ লাভলী আক্তার (আমার কণ্যা) এর নাম এবং ছবি সংযুক্ত করা একটি জাল দলিলের কপি আমাকে দেখিয়ে বলে এই জমির গ্রহিতা এখন ইকবাল হোসেন এবং মোছাঃ লাভলী আক্তার। আমি জামায়ের দেখানো দলিলটি যাচাই-বাছাই করে দেখি আমার প্রাপ্ত দলিলের সাথে এর কোন মিল নাই অর্থাৎ দলিলটি সম্পূর্ণ জাল করা হয়েছে। দেখানো দলিলটিতে দেখা যায় রেজিস্ট্রী’র তারিখের স্থানে কাটাকাটি, নামের স্থানে কাটাকাটি, স্ট্যাম্প ভেন্ডারের নাম নাসির লেখা হয়েছে যা সঠিক নয়, লাইসেন্স নম্বরও ভিন্ন, জাল নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প নম্বর-ঢ১৫৮২২৮২ যা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
এই জাল দলিলের বিরুদ্ধে আমি বিজ্ঞ সিনিঃ জুডিঃ ম্যাজিস্ট্রেট বেনাপোল পোর্ট আমলী আদালত, যশোর বরাবর মামলা করি। মামলা নং-সিআর ৪৬/২১।
প্রতারক এবং জাল দলিল সৃষ্টিকারী মুসলিম উদ্দিন পাপ্পু’র বিরুদ্ধে মামলা করায় সে ক্ষীপ্ত হয়ে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। আমার বসবাসকৃত ভাড়াটিয়াদের বিভিন্ন সন্ত্রাসী দিয়ে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে এবং প্রশাসন দিয়ে হয়রানির হুমকি দিচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে মিডিয়ায় বিভিন্ন ভাবে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করছে। পক্ষান্তরে মাদক সম্রাট মৃত সেলিমের বউকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করে আমার মেয়ের উপর বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার শুরু করেছে এবং যশোরে একটি বদ্ধ বাসায় রেখে জিম্ম করে ফেলেছে। সে মিডিয়ার ছত্রছায়ায় থেকে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে রমরমা মাদক পাচার করে চলেছে।
তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, একজন নন মেট্রিকুলেট ৬/৭ পাশ হয়ে কি করে একটি জাতীয় টিভিতে সে প্রতিনিধিত্ব করে।
এ সকল বিষয়ের প্রতিকার চেয়ে আমি সংবাদ সন্মেলন করতে বাধ্য হয়েছি। সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের নিকট আমার একটিই দাবি আমার প্রতারক জামাইকে আইনের আওতায় এনে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ পুর্বক তার শাস্তির ব্যবস্থা করা হউক।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন