আপাতত লকডাউন নয়

‘যারা বিদেশে আছেন তাদের এ মুহূর্তে দেশে না আসাই ভালো’

ওমিক্রন সংক্রমণের কারণে দেশে আপাতত লকডাউন দেওয়ার পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

রবিবার দুপুরে সাভারে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হেলথ ম্যানেজমেন্টের (বিআইএইচএম) নির্মাণাধীন ভবনের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা জানান তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‌‌‘বিমানবন্দরের ল্যাবকে আরও বড় ও আধুনিকায়ন করা হয়েছে। বিদেশ থেকে আগতদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

এসময় ওমিক্রন রোধে ভ্যাকসিন নিতে ও স্বাস্থবিধি মেনে চলতে জনগণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

‘সীমান্ত বন্ধ না করলেও ল্যাব পরীক্ষার ওপর জোর দিচ্ছে সরকার,’ উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‌‘যারা এখন বিদেশে আছেন তাদের এ মুহূর্তে দেশে না আসাই ভালো। তারা যেন সংক্রমিত হয়ে দেশে না আসেন। যারা বিদেশ থেকে আসবেন তাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। প্রবাসীদের পরিবারকে নিরাপদে রাখতে হবে, দেশকেও সুরক্ষিত রাখতে হবে। কাজেই আপনারা যেখানে আছেন সেখানেই নিরাপদে থাকুন।’

তিনি বলেন, ‘৬০ বছরের ওপরে যারা আছেন তাদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন। আপনারা জানেন ইতোমধ্যে অনেক দেশেই বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করেছেন। ভারতসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশেও বুস্টার ডোজের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমাদের টিকার কোনো অভাব নেই। আমরা বুস্টার ডোজও দিতে পারব ইনশাআল্লাহ।’

‘আমরা করোনার পরীক্ষা, কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা জোরদার করেছি। আমাদের দেশ ভালো আছে, নিরাপদে আছে। আপনারা জানেন, আমরা দুই থেকে তিনজন করে মৃত্যুর খবর পাই। এই অবস্থা থাকলে বাংলাদেশে মৃত্যুর হার শূন্যে নেমে আসবে’, বলেন মন্ত্রী।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডিজি অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মাদ খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, অতিরিক্ত সচিব মো. সাইদুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, সাভার পৌরসভার মেয়র হাজী আব্দুল গণি, সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম, সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা।

ডাক্তার ও নার্সদের পেশাগত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আরও দক্ষ করে তুলতে সাভারে তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হেলথ ম্যানেজমেন্ট’ বিআইএইচএম এর ১২ তলা আধুনিক ভবনটি। যার সার্বিক দেখভালে দায়িত্ব রয়েছে ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন। এখানে ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের আবাসিক ও অনাবাসিক বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা হবে।