যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দাম কমেছে বাংলাদেশি পোশাকের

চলতি বছরের প্রথম ৫ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের দাম কমেছে প্রায় সোয়া ১ শতাংশ। একই সময়ে ভিয়েতনামের পোশাকের দাম বেড়েছে আড়াই শতাংশের বেশি। দেশটির রপ্তানি প্রবৃদ্ধিও হয়েছে বাংলাদেশের তুলনায় প্রায় দ্বিগুন। অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে, চীনের হারানো বাজার ধরতে মানসম্পন্ন বৈচিত্র্যময় পণ্য তৈরিতে জোর দিতে হবে উদ্যোক্তাদের। মার্কিন বাজারে ভিয়েতনামের চেয়ে পিছিয়ে পড়ার বড় একটা কারণ কূটনৈতিক দুর্বলতা, এমন মত উদ্যোক্তাদের।

দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি করা তৈরি পোশাকের প্রায় ৪০ শতাংশের বেশি যোগান দিয়ে আসছে বিশ্বের বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ চীন। তবে চলতি বছরের প্রথম ৫ মাসে দেশটির বাজারে প্রায় আড়াই শতাংশ কমেছে চীনা পোশাকের রপ্তানি, দামও কমেছে সোয়া ১ শতাংশের বেশি।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন অটেক্সার পরিসংখ্যানে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে চীনের হারানো বাজার দখলে এগিয়ে, মেইড ইন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনাম। দেশটির বাজারে ৫ দশমিক সাত ছয় শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার পাশাপাশি ভিয়েতনামী পোশাকের দামও বেড়েছে আড়াই শতাংশের বেশি। একই সময়ে মার্কিন বাজারে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি থেকে ঘুরে দাঁড়ানো বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৩ দশমিক ছয় তিন শতাংশ। তবে, ৫ মাসের ব্যবধানেই দর পড়েছে প্রায় সোয়া ১ শতাংশ।

অর্থনীতি বিশ্লেষকদের চোখে, যুক্তরাষ্ট্রে, চীনের হারানো বাজার দখলে ভিয়েতনামের শক্ত অবস্থানের কারণ, তাদের বৈচিত্র্যময় পণ্যের সমাহার। যেখানে এখনও অনেকটাই পিছিয়ে বাংলাদেশ।

সিপিডি গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘চীন থেকে প্রচুর পণ্য বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে। এর একটি উল্লেখ্যযোগ্য অংশ ভিয়েতনামে যাচ্ছে। ভিয়েতনাম অনেক উচ্চমূল্যের পণ্য তৈরি করে। সেই তুলনায় বাংলাদেশ এতো উচ্চমূল্যের পন্য বানায় না।’

কূটনৈতিক সম্পর্ক শক্তিশালী করতে না পারলে ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে বড় পরিসরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানো সম্ভব নয় বলে দাবি খাত সংশ্লিষ্টদের।

যুক্তরাষ্ট্রে সাড়ে ৪ শতাংশের বেশি রপ্তানি প্রবৃদ্ধি নিয়ে বাজার দখলে নিজেদের শক্ত অবস্থানের জানান দিচ্ছে অন্যতম প্রতিযোগী দেশ ভারত, যাদের পোশাকের দামও বেড়েছে প্রায় পৌনে ২ শতাংশ।