যুবলীগের কমিটিতে নতুন মুখ যারা

কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণার একবছর পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করলো আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। আর এ কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে এসেছে বেশকিছু নতুন মুখ।

শনিবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল এ কমিটি ঘোষণা করেন।

এবারের কমিটি হয়েছে নতুন পুরানের সমন্বয়ে।

যুবলীগের নীতিনির্ধারণী পদ প্রেসিডিয়াম মেম্বারে এসেছে বেশ কয়েকজন নতুন মুখ। তাদের মধ্যে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। যিনি যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ছেলে। এছাড়া একই পদে রয়েছেন শেখ হেলালের ছোটভাই শেখ সোহেল উদ্দিন, ফরিদপুরের সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন ও সাবেক ডেপুটি স্পিকার ও জাতীয় বীর কর্ণেল অব. শওকত আলীর বড় ছেলে ডা. খালেদ শওকত আলী।

এছাড়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাইম। নাইম শেখ সেলিমের ছোট ছেলে। একই কমিটিতে তার বড় ভাই সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলে ফাহিমও রয়েছেন।

এদিকে যুবলীগে এবারই প্রথম এসে আইন সম্পাদকের পদে জায়গা করে নিয়েছেন তরুণ আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়িদুল হক সুমন। সুমনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রয়েছে বিশাল জনপ্রিয়তাও।

পদ পাওয়ার পর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাসে সুমন লেখেন, ‘কমিটিতে নাম থাকা কোন সুবিধা নয় বরং বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ভাইয়ের সম্মান পাহারার দায়িত্ব নেয়া। দায়িত্ব পালনে সবার সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করছি।’

সাংগঠনিক কমিটিতে পদ পেয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগও।

সম্মেলনের প্রায় এক বছর পর যুবলীগের ২০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলো।

এর আগে বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে অবস্থিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের কাছে হস্তান্তর করেন।

গত বছর ২৩ নভেম্বর জমকালো কংগ্রেসের মধ্যে দিয়ে গঠিত হয় যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি। আর কমিটির শীর্ষ পদে আসে নতুন মুখ। যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির সন্তান শেখ ফজলে শামস পরশ সংগঠনের চেয়ারম্যান হন। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় মাইনুল হোসেন খান নিখিলকে।