যেভাবে ট্রাম্পের সমাবেশ প্রাণঘাতী সহিংসতায় রূপ নেয়

নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তুলে সমাবেশে বক্তৃতা দেয়ার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সমর্থকদের ক্যাপিটল ভবনের দিকে পদযাত্রা করতে বলেছেন।

পরবর্তীতে তারা ঝড়ের গতিতে ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়েন। তখন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে স্বীকৃতি দিতে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন চলছিল।

সমর্থকেরা সিনেটের চত্বর ও প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যানসি পেলোসির অফিসের দিকে ধাবিত হন। এটিকে মার্কিন গণতন্ত্রের অন্ধকার মুহূর্ত বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

ট্রাম্পের শত শত সমর্থক ক্যাপিটল ভবনে হামলা ও ভাংচুর করলে গুলিতে এক নারী নিহত হন। এর আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকেরা নিরাপত্তা রেখা লঙ্ঘন করলে ক্যাপিটল ভবন অবরুদ্ধ করে দেয়।

মার্কিন গণতন্ত্রের প্রতীক বলে বিবেচিত ক্যাপিটল ভবন। ট্রাম্পের সমর্থকেরা তা দখল করে নিয়েছিল। এতে অধিবেশন স্থগিত করতে বাধ্য হয় কংগ্রেস।

পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে পুলিশ পাহারা দিয়ে আইনপ্রণেতাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়। যৌথ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। তাকেও পাহারা দিয়ে অধিবেশন কক্ষ থেকে বের করে নিয়ে যায় পুলিশ।

এরপর ক্যাপিটলকে ট্রাম্প সমর্থকদের দখলমুক্ত করতে অভিযান শুরু করে। এতে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় লেগে যায়। হলওয়েগুলো দিয়ে ট্রাম্প সমর্থকদের ছোটাছুটি ও বিভিন্ন দফতরে গিয়ে খোঁজাখুঁজি ও তাণ্ডবে হাঙ্গামা ও বিশৃঙ্খলার এক নজিরবিহীন দৃশ্যের অবতারণা হয়।

বুধবার কংগ্রেস যৌথ অধিবেশনের বিরোধিতা করে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে জড়ো হয়েছিলেন কয়েক হাজার ট্রাম্প সমর্থক, যাদের মধ্যে উগ্রপন্থি বিভিন্ন গ্রুপের সদস্যরাও ছিলেন। সেই সমাবেশে বক্তব্যে নভেম্বরের নির্বাচনে পরাজয় মেনে না নেওয়ার ঘোষণা দেন ট্রাম্প।

এই সমাবেশের অল্প একটু দূরে গিয়ে কয়েকশ ট্রাম্প সমর্থক ক্যাপিটল ভবনের নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। এক পর্যায়ে কংগ্রেসের অধিবেশন চলার মধ্যেই পুলিশের বাধা ভেঙে ক্যাপিটল ভবনে ঢুকে পড়েন তারা।

তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদুনে গ্যাস ও পেপার স্প্রে ব্যবহার করে পুলিশ।