যে কারণে ফ্রান্সের কোম্পানির সঙ্গে স্মার্টকার্ডের সব চুক্তি বাতিল

১০ কোটি মানুষের জাতীয় তথ্য ভান্ডারে ফরাসি কোম্পানির অবৈধ প্রবেশের চেষ্টা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার হুমকি বিবেচনায় নিয়ে ফ্রান্সের কোম্পানির সঙ্গে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের সব চুক্তি বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে সারাদেশের মানুষের হাতে ৩ মাসের মধ্যে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র তুলে দিতে নিজেদের অর্থায়নে নতুন উদ্যোগে কাজ করেছে নির্বাচন কমিশন।

এর আগে ১০ কোটি ১৯ লাখ ভোটারের আধুনিক স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র ছাপানোর দায়িত্ব পেয়েছিল ছিল ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠান ওভার থ্রু। কিন্তু চুক্তির ১৮ মাস পার করে পরবর্তী ১২ মাসেও প্রতিষ্ঠানটি স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র ছাপানোয় পুরোপুরি ব্যর্থ হওয়ায় সারাদেশে অত্যাধুনিক স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র ছাপানো এবং বিতরণ প্রক্রিয়া ঝিমিয়ে পড়ে।

এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে জাতীয় তথ্য ভান্ডারে প্রবেশের অধিকার চাওয়ার বিষয়টিকে সহজ ভাবে নেয়নি ইসি।

জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের ডিজি ব্রি.জে.মোহাম্মদ সাঈদুর ইসলাম বলেন, ফ্রান্সের কোম্পানির ব্যর্থতা থাকায় সময়মতো স্মার্টকার্ডগুলো জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে পারেনি।

‘তাদের সঙ্গে আমাদের যে চুক্তি ছিল সেই চুক্তি অনুসারে তাদের শুধু স্মার্টকার্ড ছাপানোর দায়িত্ব ছিল। অন্যান্য সফটওয়্যার বা সার্ভারে তাদের প্রবেশ করা বা প্রবেশের অনুমতি দেয়ার কোনো বিধান ছিল না। কিন্তু তাদের এ ধরণের চাওয়া বার বার অাসায় আমরাও খুব চিন্তিত ছিলাম।’

তবে পিছিয়ে পড়া কাজ দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাবে নির্বাচন কমিশন। সে প্রসঙ্গে ব্রি.জে.মোহাম্মদ সাঈদুর ইসলাম জানান, আমরা এখন প্রমাণ করতে চাই আমাদের জনবল আমাদের সফটওয়্যার দিয়ে আমরা কাজটি সম্পূর্ণ করতে পারব।

ফ্রান্সের ওই কোম্পারির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে ১০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করতে আইনজীবী নিয়োগ করেছে ইসি।