বিয়ে করলেই বেতন বাড়ে!

মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে অনেক প্রতিষ্ঠানেই বেতন বাড়ানো সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠান কর্মীও ছাঁটাই করছে। কিন্তু উল্টো পথে হাঁটল এক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। নিজেদের কর্মীদের খুশি রাখতে অভিনব উদ্যোগ নিল শ্রী মুকামবিকা ইনফোসল্যুশন (এসএমআই) নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

বিয়ে হলে কর্মীদের বেতন বাড়িয়ে দেওয়ার রীতি আগে থেকেই ছিল। আর এবার জীবনসঙ্গী খুঁজে দেওয়ার দায়িত্বও নিল ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের এই প্রতিষ্ঠানটি। সংস্থাটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কর্মীদের জন্য পাত্র বা পাত্রী বাছাই করে দেবে। পাশাপাশি প্রতি ৬ মাস পরপর কর্মীদের বেতন বাড়িয়ে দেওয়া হবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ওয়ানইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসএমআই নামের ওই প্রতিষ্ঠানটি তার কর্মীদের ধরে রাখার জন্য এমন উদ্ভাবনী উপায় নিয়ে এসেছে। বলা হয়েছে, নতুন খুব ভালো অফার না আসা পর্যন্ত আপনারা সংস্থায় আপনাদের পছন্দমতো নিজেদের মধ্যে বিয়ে করে নিন। তাহলে টাকাও বেড়ে গেল আবার আপনিও খুশি হয়ে গেলেন।

সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যের সিভাকাসিতে ২০০৬ সালে এসএমআই যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠানটিতে প্রায় ৭৫০ জন কর্মী রয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই কমপক্ষে পাঁচ বছর ধরে কোম্পানির সঙ্গে রয়েছেন। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ক্লায়েন্টদের পরিষেবা প্রদানকারী একটি ব্যক্তিগতভাবে অনুষ্ঠিত বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি সমাধান প্রদানকারী সংস্থা। শ্রী মুকামবিকা ইনফোসল্যুশনের প্রায় ৪০ শতাংশ কর্মচারী পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে কোম্পানির সঙ্গে রয়েছেন।

এসএমআইর প্রতিষ্ঠাতা এমপি সেলভাগনেশ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, কর্মচারীরা আমার সঙ্গে ভাইয়ের মতো আচরণ করে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন গ্রাম থেকে এখানে এসে কাজ করেন। তাদের অনেকের বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা-মা রয়েছেন যাদের বাস্তব দুনিয়া নিয়ে খুব একটা স্পষ্ট ধারণা নেই। তাই ছেলেমেয়েদের জন্য সঠিক সঙ্গী খুঁজে পেতে অক্ষম। আমরা তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছি। এখানে আমরা একে অপরের আত্মীয়ের মতো থাকার চেষ্টা করি। তাই তাদের জন্য জীবনসঙ্গী খুঁজে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এরপর বিয়েতে গাড়ি ভাড়া করে সব কর্মী একসঙ্গে গিয়ে আনন্দ করি। আমরা যেন এক পরিবারের অঙ্গ। আর সবচেয়ে জরুরি ব্যাপার হলো, বিয়ের পরেই কর্মীদের বেতনও বাড়ানো হয়।

তিনি আরও বলেন, কর্মীরা সমস্যায় পড়লে সরাসরি আমার কাছে পৌঁছান। আর আমাদের এই ধরনের বন্ধন তৈরি করতে সময় এবং অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে। আমাদের পদ্ধতিতে সৎ হতে হবে। শুধু ব্যবসার দৃষ্টিকোণ থেকে সবকিছু দেখতে হবে না।