রংপুরের পীরগঞ্জে সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি, প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

রংপুরের পীরগঞ্জে এমপিওভুক্তির নির্দেশপ্রাপ্ত ছাতুয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরমান হোসেন মুকুল ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি করায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রংপুর অঞ্চলের শিক্ষা বিভাগের উপ-পরিচালকসহ কর্তৃপক্ষকে সাময়িক বরখাস্তের কপি পাঠানো হয়েছে।

অভিযোগে জানা গেছে,পীরগঞ্জ উপজেলার টুকুরিয়া ইউনিয়নের ছাতুয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি কিছুদিন আগে এমপিওভুক্তির জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হয়। বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আরমান হোসেন মুকুল তার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ভুয়া রেজ্যুলেশনে নিজেকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে কাগজপত্র সৃজন করেন। এরপর তিনি গত ৭ অক্টোবরে এমপিওভুক্তির জন্য তাঁর পদসহ ৩ জনের বেনবেইজ ফরম পুরন করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে জেলা শিক্ষা অফিসে প্রেরণ করেন। আবেদনটি রংপুর অঞ্চলের শিক্ষা বিভাগের উপপরিচালকের (ডিডি) কাছে পৌছুলে জালিয়াতির খবর প্রকাশ হয়ে পড়ে। ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে এমপিওভুক্ত করার জন্য ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আফজাল হোসেন ডিডি’র কাছে গত ২৫ অক্টোবর, ২৬ নভেম্বরে এবং ২৬ ডিসেম্বর লিখিত অভিযোগ করেন। পাশাপাশি ওই প্রধান শিক্ষককেও পরপর ৩ বার (১৫ ও ৩০ অক্টোবর এবং ২০ নভেম্বর) কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়।

কিন্তু ওই প্রধান শিক্ষক কোন জবাব না দেয়ায় গত ৩১ ডিসেম্বর ম্যানেজিং কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ওই প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্তে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, অদক্ষতা, অনিয়ম, দূর্নীতি, নিয়োগ জালিয়াতি, কমিটির সিদ্ধান্ত অমান্য ও শৃংখলা ভংগের অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রধান শিক্ষক আরমান হোসেন মুকুল বলেন, আমি যথাযথ প্রক্রিয়ায় কাগজপত্র স্বাক্ষর করে এমপিওভুক্তির (ব্যানবেইস) আবেদন করেছি। তিনি আরও বলেন, আমি কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছি।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আফজাল হোসেন বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক যে দুর্নীতি করেছেন,তা অমার্জনীয় অপরাধ। কাগজপত্র জালিয়াতি করে তিনিসহ শুধু ৩ জনের নামে ব্যানবেইস প্রেরন করায় অপর শিক্ষক, কর্মচারীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাই ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে কথা হলে উপপরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে অভিযোগ পেয়েছি। পাশাপাশি তাকে (প্রধান শিক্ষক) সাময়িক বরখাস্তের পত্রটিও পেয়েছি। বিদ্যালয়টির এমপিও সংক্রান্ত কাজ স্থগিত করা হয়েছে।