রংপুরের মিঠাপুকুরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে এক সন্তানের জননী
রংপুরের মিঠাপুকুরে প্রেমিকের বিয়ের পূর্বের দিন এক নারী বিয়ের দাবিতে অনশনে নেমেছেন। ঘটনার পর থেকে প্রেমিক এবং তার পরিবারের সদস্যরা আত্মগোপনে রয়েছেন। ওই নারীর বাড়ি কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার দক্ষিণ তেলাই গ্রামে এবং তিনি এক সন্তানের জননী বলে জানা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) মিঠাপুকুর উপজেলার বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নের চাঁদপাড়া গ্রামে সন্ধ্যায় প্রেমিক আবদুল্লার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। যেসময় আবদুল্লাহ’র হলুদ সন্ধ্যা চলছিলো সেই সময়ে হাজির ওই নারী। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত জুড়ে স্থানীয়ভাবে আলোচনা করেও ওই নারীকে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় ও স্বজনরা জানান, মিঠাপুকুর উপজেলার ১০ নং বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নের চাঁদপাড়া গ্রামের মহাসেন হকের পুত্র আব্দুল্লাহর সঙ্গে আজ (৯-ফেব্রুয়ারি) একই গ্রামের মুকুল মিয়ার কন্যার পারিবারিকভাবে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিলো। বিয়েতে উভয় পরিবার অতিথি সহ আত্মীয় স্বজনদের দাওয়াত দেওয়া এবং কেনাকাটা সম্পূর্ণ করেছেন। বিয়ে বাড়িতে যখন আনন্দ উৎসব চলছিলো সে সময়ে বিয়ের দাবিতে হাজির ওই নারী।
ওই নারীর দাবি- প্রায় তিন বছর পূর্বে মুঠোফোনে রং নাম্বারের সূত্রধরে ঢাকায় অবস্থান কালে আবদুল্লাহর সঙ্গে তাঁর পরিচয় এবং প্রেম হয়। আবদুল্লাহর বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে তিনি তার পূর্বের স্বামীকে তালাক দিয়েছেন। এরপর বিয়ের আশ্বাসে আবদুল্লাহ ঢাকায় তাঁর সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক মেলামেশা করেন। আবদুল্লাহর বাবার মহাসেনের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ ছিলো। তিনিই তাঁকে জানান, আবদুল্লাহর বিয়ে হচ্ছে। এরপর তিনি ঢাকা থেকে সরাসরি আবদুল্লাহর বাড়িতে আসেন। বিয়ে নাহলে আত্মহত্যা ছাড়া তার আর কোনো পথ নাই।
মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান -খবর পেয়েছি বিষয়টি পারিবারিক ভাবে সমাধানের চেষ্টা চলছে। তবে পুলিশের সহযোগিতা চাইলে পুলিশ আইনি সহযোগিতা করবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন