রংপুরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম, দূর্নীতর বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার মিয়ারহাট আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও এক সহকারি শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে বিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং এলাকার সচেতন নাগরিক সমাজ।

সোমবার (৮ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার কাফ্রিখাল ইউনিয়নের মিয়ারহাট বাজার এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে উপস্থিত সোহানুর রহমান জানান,মিয়ারহাট আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ বাদল মিয়া ও সহকারী শিক্ষক কামরুল ইসলাম এর স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম,দূর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে ২২ লক্ষ আত্মসাৎ এবং বিদ্যালয়ের গাছ চুরির প্রতিবাদে আমরা এলাকাবাসী ও সাবেক বর্তমান শিক্ষার্থীবৃন্দ এই মানববন্ধনের আয়োজন করছি।আমরা চাই অবিলম্বে এই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত করে বিদ্যালয়ের এডহক কমিটি বাতিল করে অভিভাবক সদস্যদের দিয়ে নির্বাচিত কমিটি গঠন করা হোক।

এদিকে গত শুক্রবার বিধি বহির্ভূতভাবে টেন্ডার ছাড়াই প্রতিষ্ঠানের মাঠের একটি গাছ বিক্রির ঘটনায় এলাকাবাসী গাছের গোলাই ভর্তি ভ্যান আটক করলে মিঠাপুকুর থানা পুলিশ গাছের গোলাইগুলো ইউনিয়ন পরিষদের জিম্মায় দেয়।এবিষয়ে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে রংপুর জেলা প্রশাসক, রংপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার,মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মিঠাপুকুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরারব একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও এখনো কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করার অভিযোগ স্থানীয়দের।

মিয়ারহাট আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বরখাস্ত হওয়া প্রধান শিক্ষক ও কাফ্রিখাল ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন জানান,২০১৫ সাল থেকে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে আমাকে বরখাস্ত করে রাখা হয়েছে।হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী ১৮০ দিনের বেশি কোন শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে রাখা যাবে নাহ।কিন্তু হাইকোর্টের আদেশ লঙ্ঘন করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিধি বহির্ভূতভাবে নিজের মনগড়া লোক দিয়ে এডহক কমিটি গঠন করে আমাকে একটানা নয় বছর থেকে বরখাস্ত করে রেখেছে।

বিদ‍্যালয়ের জমি দাতা সোলেমান আলী বলেন, বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাদল মিয়া এবং সহকারী শিক্ষক কামরুল ইসলাম নানা রকম অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছিলেন। এমনকি বিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়ার কথা বলে আমার ছেলের কাছ থেকে চার লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তারা। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করছি।

এ বিষয়ে কথা বলতে বিদ্যালয়টির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাদল মিয়ার সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

মিঠাপুকুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মমিন মন্ডল জানান,আজকের মানববন্ধনের সার্বিক বিষয়ে আমার জানা নেই।গাছ বিক্রির বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি।এটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রংপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এনায়েত হোসেন মুঠোফোনে জানান,আমি মিটিংয়ে আছি।বিদ‍্যালয়ের নিয়োগের বিষয়টি আমার অজানা। তবে টেন্ডার ছাড়াই গাছ কাটার বিষয়ে আমার অফিসে অভিযোগ দিয়ে থাকলে আমি বিষয়টি তদন্ত করবো।মানববন্ধনের বিষয়ে আমার জানা নেই।