রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করুন : বাংলাদেশ ন্যাপ
রমজান এলে আমাদের বাজারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়া একটা নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এই সময় সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠে যায়। অন্যদিকে লাভবান হয় একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী। পবিত্র মাহে রমযানের শিক্ষা বাস্তব জীবনে প্রতিফলন ঘটিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য নিয়ন্ত্রনে রাখার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনে সরকার ও ব্যবসায়ীদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ আহ্বান জানান।
তারা বলেন, রমজানে পণ্য মজুদ করে এবং কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে তারা সাধারণ মানুষের পকেট কেটে টাকা নিয়ে নেয়। অন্যদিকে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি বছরই রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণ করার প্রতিশ্রুতি থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়নে সরকার ব্যর্থ হয়। যার ফলশ্রুততে মধ্যবিত্ত, ন্মিবিত্ত মানুষের বেহাল দশা শুরু হয়েছে। এমন অবস্থায় রিমজান মাসের সিয়াম-সাধনা সুষ্ঠু, সুন্দর ও পবিত্রতার সঙ্গে পালন করতে প্রতিদিনের খাবার-দাবার ও বাজারের দ্রব্যসামগ্রীর সহজলভ্যতা যেন মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে, এ বিষয়গুলো সরকারসহ সবাইকে গুরুত্বের সঙ্গে ভাবা একান্ত আবশ্যক।
নেতৃদ্বয় বলেন, প্রতি বছর সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার কথা বলে, প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণের কথা বলে; কিন্তু বাস্তবে এর কোনো প্রতিফলন দেখা যায় না। মুনাফাখোর ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট এতটাই শক্তিশালী যে, তাদের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয় না।
তারা বলেন, যেখানে বিশ্বব্যাপী পবিত্র রমজান মাস আসলে মানুষের প্রতি মানুষের সহনুভূতি বেড়ে যায়; ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ রাখতে যথাসাধ্য চেষ্টা করে, সেখানে আমাদের দেশের বাজার ব্যবস্থা রমজানের আগের সঙ্গে রমজানের সময়ের কোনো মিল থাকে না। রমজান আসার সঙ্গে সঙ্গে নিত্যদিনের দ্রব্যমূল্যের দাম দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ পর্যন্ত এমনকি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। যা সব শ্রেণির রোজাদারদের জন্যই অত্যন্ত কষ্টকর।
নেতৃদ্বয় বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেলে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হন খেটে খাওয়া ও নিন্মআয়ের শ্রমজীবী মানুষ, যাদের আয় সীমিত। পাশাপাশি মধ্যবিত্ত শ্রেণিও ভোগান্তির শিকার হন। এবারের রমজান মাসে যাতে জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং শ্রমজীবীসহ সব স্তরের মানুষ যাতে উপকৃত হয়, সেজন্য দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন