রাজধানীতে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ শুরু

রাজধানীতে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু করেছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। বুধবার কোরবানির বর্জ্য অপসারণের জন্য দুই সিটিতে সাড়ে ৯ হাজার পরিচ্ছন্নকর্মী কাজ করছেন।

সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, কোরবানির বর্জ্য অপসারণের জন্য বিশেষ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের আওতায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নিজস্ব ২ হাজার ৭০০ পরিচ্ছন্নকর্মীর অতিরিক্ত হিসেবে সর্বমোট ৯ হাজার ৫০০জন পরিচ্ছন্নকর্মীকে কোরবানির বর্জ্য অপসারণে নিয়োজিত করা হয়েছে।

এছাড়া দ্রুত ও নির্ধারিত সময়েই বর্জ্য অপসারণে হটলাইন খোলা হয়েছে। বর্জ্য যত্রতত্র না ফেলতে নগরবাসীর মাঝে প্রায় পাঁচ লাখ পলিথিনের ব্যাগ সরবরাহ করা হবে এবং বর্জ্য অপসারণের সুবিধার্থে দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ১ হাজার ১৫১টি পশু জবাইয়ের স্থান নির্ধারণ করা হয়ে। অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ৬০২টি পশু জবাইয়ের স্থান নির্ধারণ করা হয়।

কোরবানির পশুর বর্জ্য দ্রুত অপসারণে হটলাইন:

দ্রুত বর্জ্য অপসারণ কোথাও না হলে হট নম্বরে কল করতে অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। এই নম্বরগুলো ওয়েবসাইট ও লিফলেটের মাধ্যমে জনসাধারণকে জানানো হয়েছে। আঞ্চলিক কার্যালয়, অঞ্চল-৩ (মহাখালী)-এ অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের টেলিফোন নম্বর ৯৮৩০৯৩৬।

তাছাড়া ৫টি আঞ্চলিক কার্যালয় ও ৩৬টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের অফিস কন্ট্রোল রুম হিসেবে ব্যবহার করা হবে।

এছাড়া দ্রুত বর্জ্য অপসারণ ও এ সংক্রান্ত সহযোগিতার জন্য কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম ছাড়াও নিম্নলিখিত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে:

অঞ্চল-১ (উত্তরা) ০১৭১৭১০২০২৫; অঞ্চল-২ (মিরপুর) ০১৭১১৩১৩২৮৯; অঞ্চল-৩ (মহাখালী) ০১৯২৩১১৩৬৩৬; অঞ্চল-৪ (মিরপুর) ০১৭৩৩৮৯৫৫৩২; অঞ্চল-৫ (কারওয়ান বাজার) ০১৭১১৫৭৭৪৭৪।

অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় কোরবানির বর্জ্য দ্রুত অপসারণে হট চালু করেছে ডিএসসিসি। যদি কোনো নাগরিকের বাসার সামনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য পরিষ্কার না হয়, তাহলে হটলাইনে (০৯৬১১০০০৯৯৯) ফোন করার অনুরোধ জানিয়েছেন মেয়র সাঈদ খোকন।

কোরবানির বর্জ্য অপসারণের প্রস্তুতি বিষয়ে বলতে গিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, কোরবানির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বর্জ্য পরিষ্কার করা হবে। গত ৩ বছর আমরা ঘোষণা দিয়ে বর্জ্য পরিষ্কারে সফল হয়েছি। এবারও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পরিষ্কার করবো। কোরবানির জন্য আমরা স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছি। যারা বাড়ির আঙ্গিনায় করবেন তারা বর্জ্যগুলো নিজ দায়িত্ব করপোরেশনের কন্টিনারে রেখে যাবেন, পাশাপাশি কোরবানির রক্ত ধুয়ে দিবেন।

এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র সদস্য জামাল মোস্তফা বলেন, ঢাকা মহানগরে বিশেষ করে পবিত্র ঈদুল আজহার সময়ে সুষ্ঠুভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ। তবে নাগরিকগণ যাতে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নির্বিঘ্নে পবিত্র ঈদের আনন্দ উদযাপন করতে পারে সে লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সকল বর্জ্য অপসরণের ব্যবস্থা করেছে।