রাজধানীতে বাস পোড়ানো: বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ

রাজধানীতে বাস পোড়ানোর ঘটনায় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিএনপি। এসময় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতেই নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হচ্ছে। উপ নির্বাচন বাতিলের দাবি জানিয়ে আবারো নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানান তিনি।

শনিবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকা ১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে তা বাতিল এবং রাজধানীতে বাস পোড়ানোর ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করে বিএনপি।

মূল দল ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের এ কর্মসূচীতে আহ্বান জানানো হলেও মহাচিব ছাড়া সমাবেশে দেখা যায়নি কোন সিনিয়র নেতাদের। ছিলেন না কোন স্থায়ী কমিটি সদস্য বা কোন ভাইস চেয়ারম্যানদের।

সমাবেশে ঢাকা-১৮ আসনের বিএনপির পরাজিত প্রার্থী সদ্য অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তোলেন। একই সঙ্গে অন্যান্য নেতারাও দাবি করেন বর্তামান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, বিরোধী মত ধ্বংস করতেই ষড়যন্ত্র চলছে।

ফখরুল বলেন, ১ লাখের বেশির উপরে মামলা দিয়ে ৩৫ লাখ মানুষকে আজকে আসামি করা হয়েছে। এর কারণ একটাই যে বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করতে হবে, বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে হবে এবং ভিন্ন মত এখানে রাখা যাবে না।

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করেন তিনি।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন তাদের লাজ লজ্জা পর্যন্ত নাই। শরম, বেহায়া বা তাদের হায়াটুকু পর্যন্ত নেই। তাদের যদি লজ্জা সরম থাকতো তাহলে অনেক আগেই পদত্যাগ করে চলে যেত। আমরা একটা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। সে জন্য সরকারকে বলবো তার ব্যবস্থা করুন। অন্যথায়, প্রত্যেকটি স্বৈরাচারী, প্রত্যেকটি কতৃত্ববাদী সরকার যেভাবে বিদায় হয়েছে, আপনাদেরকে জনগণের উত্তাল আন্দোলনের মুখে বিদায় হতে হবে।

নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধরে গণতান্ত্রিক উপায়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলারও আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।