রাজধানীতে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) বেলা ১১টার কিছুক্ষণ আগ থেকে এ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।

এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে দেখা যায় বিএনপি নেতাকর্মীদের।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার শেল ছোড়ে পুলিশ।

এ সময় পুলিশের গুলিতে বিএনপির তেজগাঁও থানার সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান টগর (৪৮) আহত হয়েছেন। তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে শহীদ জিয়ার কবর জিয়ারত করতে এলে পুলিশ বাধা দেয়। হঠাৎ রাবার বুলেট ছোড়ে এবং নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়। এতে উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের কবরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর বিএনপির পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর কথা ছিল। কিন্তু পুলিশ বিনা উস্কানিতে আমাদের ওপর হামলা করেছে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন মিয়াজী জানান, মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির পক্ষ থেকে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিতে যান কয়েক হাজার নেতাকর্মী। সেখানে তাদের ওপর পুলিশ অতর্কিত আক্রমণ করে। এক পর্যায়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় পুলিশ। এতে টগরের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুলিবিদ্ধ হয়। এছাড়া আরও অনেক নেতাকর্মী গুলিতে আহত হয়েছেন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

এদিকে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, টগর নামের একব্যক্তিকে নিউরোসার্জারি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।

জানা যায়, সকাল ১১টায় পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচিতে অংশ নিতে চন্দ্রিমা উদ্যানে আসতে থাকেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এ সময় উদ্যানের গেট বন্ধ এবং মাজারে অবস্থান নিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান তারা। সেই সঙ্গে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে দেখা যায় বিএনপি নেতাকর্মীদের।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।

সেসময় ডিএমপির শেরেবাংলা নগর থানা ওসি জানে আলম মুন্সি বলেন, ‍‘আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’