রাজধানীর বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অঘোষিত ছুটি

রাজধানীর ধানমন্ডি, মতিঝিল এবং উত্তরাসহ বেশ কয়েকটি এলাকার স্কুল ও কলেজ আজ বুধবার (১ আগস্ট) বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানগুলোতে নোটিশ টানিয়ে দিয়ে, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে, আবার মৌখিকভাবেই জানানো হয়েছে— বুধবার ক্লাস বন্ধ থাকবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত ড্রেস পরেই আন্দোলনে যুক্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এসব কারণে বুধবার কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। উত্তরার কয়েকটি কলেজ কর্তৃপক্ষ মিলে সভা করে তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অভিভাবকরাও কলেজ বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন কলেজ, উত্তরা হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজ, সিটি কলেজ, ঢাকা কলেজ, ঢাকা কমার্স কলেজ, মতিঝিল আইডিয়াল, সিদ্ধেশ্বরী কলেজ, নটরডেম কলেজসহ বিভিন্ন কলেজে অঘোষিতভাবে ক্লাস বন্ধ রাখা হয়েছে।

পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। ঢাকা কমার্স কলেজে নোটিশ দিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের জানানো হয়েছে, বুধবার অনিবার্য কারণবশত ক্লাস বন্ধ ধাকবে। পৃথক একটি নোটিশে বলা হয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ভিডিও ফুটেজে কমার্স কলেজের শিক্ষার্থীদেরকে রাস্তায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির প্রমাণ পেয়েছে। ফলে আবারও কলেজের কোনও শিক্ষার্থীর এমন সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেলে তার দায় কলেজ কর্তৃপক্ষ নেবে না।

মাইলস্টোন কলেজের অধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা দূর থেকে আসে। তাদের নিরাপত্তার দিকটি মাথায় রেখে অমরা ক্লাস বন্ধ রেখেছি।’

অন্যদিকে, উত্তরা হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজও বন্ধ রাখা হঢেছে। কলেজটির অধ্যক্ষ ফরিদুর রহমান বলেন, ‘আমরা ক্লাস বন্ধ রেখেছি। শিক্ষার্থীদের যেন কোনও ক্ষতি না হয়, সেদিক বিবেচনা করেই এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।’

তবে কলেজ বন্ধ রাখার বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কোনও নির্দেশনা নেই বলে জানানো হয়েছে। বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মু. জিয়াউল হক জানান, কলেজ বন্ধ রাখার ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

প্রসঙ্গত, রবিবার (২৯ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনের বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম ওরফে সজীব এবং একই কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম ওরফে মিম নিহত হন। এ সময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। পথচারীরা সঙ্গে সঙ্গে আহতদের নিকটস্থ কুর্মিটোলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে গুরুতর আহত কয়েকজনকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা রাজধানীর সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে।