রানাপ্লাজা ট্রাজেডির ১০বছর কেটে গেলেও আহতদের দূর্দশা কাটেনি

আজ ২৪ শে এপ্রিল ২০১৩ সালের আজকের এইদিনে বাংলাদেশে ঘটে যায় ভয়াবহ এক দূর্ঘটনা।ঢাকার সাভার স্ট্যান্ডে রানাপ্লাজা নামের এক দানবীয় ভবন কয়েক হাজার মানুষ নিয়ে ধ্বসেপড়ে.১১৭৫জন.মারা যায় আহত করে আরো ২০০০…মানুষকে। দেশের সব থেকে বড় ট্রাজেডি হিসেবে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়ে নেয় রানাপ্লাজা ট্রাজেডি।

রানাপ্লাজা ট্রজেডি থকে বেঁচে যাওয়া নিলুফা বেগম আওয়ার নিউজ কে বলেন, ১০বছর পার হলেও ভাঙ্গা হাত পা নিয়ে দারুন কষ্ট করে দিন পার করতে হয়। আমাদের কাজ করেও খেতে পারিনা। আমরা এখন সকলের বোঝা আমাদের কিদোষ ছিল? আমরাতো এমন ছিলাম না। নিজের চিকিৎসা করিয়ে কিছু করে খাব সে ব্যপারে কেউ কোন খোঁজ নেয়না আমাদের।
আরেক নারী শ্রমিক শিলা আক্তার আওনিউজকে বলেন, আমাদের সরকারী ওবেসরকারি ভাবে পাথমিক চিকিৎসা দিছে আর বলছে আমাদের ক্ষতিপূরন দিবে কিন্তু ১০ বছর হলো এখোনো ক্ষতিপূরন দুরের কথা খোজও নেয়না।

আজকের দিনে রানাপ্লাজা ট্রাজেডির ১০ বছর পূর্ণ হলেও যে শ্রমিকরা সেদিন মারা গিয়েছিল তারা সেদিনই যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পেয়েছিল। কিন্তু যারা আহত হয়েছিল তারা যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পায়নি আজও। দেখতে, দেখতে কেটে গেছে ১০টি বছর,অথচ শরিরের বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গের যন্ত্রনায় প্রতিদিন মৃত্যু সাথে পাঞ্জা লড়ছে আহত শ্রমিকেরা। আজ পর্যন্ত সঠিক তালিকা করে পুনর্বাসন না করার অভিযোগ রয়েছে রানাপ্লাজায় আহত শ্রমিকদের।

আওয়ার নিউজ বিডিকে গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাংগঠনিক সম্পাদক খাইরুল মামুন মিন্টু বলেন, ১০ বছরে ক্ষতিপূরণতো দূরের কথা আহত শ্রমিকদের ভাগ্যে জুটেনি অন্ন আর চিকিৎসা। ফলে ভিক্ষার থালা নিয়ে ঈদের আগে ঘুরে বেড়াচ্ছেন মানুষের দ্বারে দ্বারে। এ যেন তাদের সাথে কেবলই চিকিৎসা ও পুনর্বাসন দাবি নিয়ে উপহাস।

অরবিন্দু বেপারী, সভাপতি, বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন আওয়ার নিউজকে অভিযোগ করে বলেন, যেখানে শ্রমিকদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন সম্ভব হয়নি। সেখানে রানাপ্লাজার মালিককে মুক্তি দেয়া নিয়ে নানা ধরণের অপতৎপরতা চালাচ্ছেন একটি মহল।

উল্লেখ্য যে ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে সাভারের রানাপ্লাজা ভবন ধসে ১ হাজার ১৭৫ জন শ্রমিক নিহত হয়। এঘটনায় ২ হাজারের বেশি শ্রমিক আহত হয়ে এখনও মানবেতর জীবনযাপন করছে।
সকাল থেকেই সাভার বাস স্ট্যান্ডে রানাপ্লাজার সামনে জড় হয় নিহত শ্রমিকদের স্বজনও আহত শ্রমিকরা। বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন খন্ড, খন্ড মিছিল নিয়ে রানাপ্লাজার সামনে জড় হয়ে বিভিন্ন দাবি নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে।

এসময় নিহত শ্রমিকদের স্মরণে সকল শ্রেনী পেশার মানুষেরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন অস্থায়ী বেদিতে। যে কোন অপৃতিকর ঘটনা এড়াতে রানাপ্লাজা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকতে দেখা গেছে।