রিয়াজ উদ্দিন আহমেদকে পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান দেখতে চায় মঠবাড়িয়াবাসী
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা থেকে রিয়াজ উদ্দিন আহমেদকে পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায় মঠবাড়িয়াবাসী।মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ মঠবাড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যৌথ সভায় ইতোমধ্যে রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের প্যানেল ঘোষনা করা হয়েছে।
এতে নেতা কর্মীরা যেমন উচ্ছ্বসিত হয়েছে তেমনি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের নাম এখন সাধারণ মানুষের মুখে মুখে।
স্থানীয় তরুন প্রজন্মের নেতা কর্মীদের সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে এমন তথ্য জানা গেছে।
মঠবাড়িয়া উপজেলার তরুন প্রজন্মের মতে,রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ শুধু একজন দক্ষ জনপ্রতিনিধিই নয়, একজন দক্ষ সংগঠকও। উপজেলা পরিষদে নিয়মিত অফিস করার পাশাপাশি পর্যাপ্ত সময় দেন দলীয় অফিসেও। রাজনৈতিক কর্মসূচি সহ দলীয় অফিসে নির্ধারিতভাবে সময় দেওয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের আস্থার প্রতীক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।
এর আগে স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজী উপজেলা পরিষদের সাথে সমন্বয় করে কাজ না করায় উন্নয়নমূলক কাজের জন্য আসা উপজেলা পরিষদের কয়েক কোটি টাকার বরাদ্দ ফেরত গেছে। উপজেলা পরিষদের বরাদ্দ ফেরত যাওয়ায় মঠবাড়িয়া উপজেলার ১১ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ ডাঃ রুস্তম আলী ফরাজীর বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করেছে। কিন্তু তারপরও উপজেলা পরিষদের সাথে সমন্বয় না করায় উপজেলা পরিষদের সেবা থেকে মানুষ কিছুটা বঞ্চিত হয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) আসনে উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন আহমেদের বড় ভাই শামীম শাহনেওয়াজ এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। এতে উপজেলা পরিষদের সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে এখন অনেকটা সহজ হয়েছে। তাই মঠবাড়িয়া মানুষ মন স্থির করেছে রিয়াজ উদ্দিন আহমেদকে পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে হবে।
মঠবাড়িয়া উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাখালী গ্রামের এক সভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন তিনি।বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা। ৪ ভাইয়ের মধ্যে বড় ভাই শামীম শাহনেওয়াজ সংসদ সদস্য, ছোট ভাই আশরাফুর রহমান সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, আরেক ভাই সাইফুর রহমান রিপন পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আশরাফুর রহমান দলীয় মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক পেয়েছিলেন। কিন্তু জাতীয় পার্টির সাথে আসন সমঝোতায় নৌকা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। যদিও তার আপন ভাই শামীম শাহনেওয়াজ কলার ছড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে এমপি নির্বাচিত হন।
রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমি দূরের কোন লোক নই।আমি আপনাদের কারো ভাই, কারো বন্ধু, কারো প্রতিবেশী। তাই কোন অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে আপনারা দেখেশুনে সিদ্ধান্ত নিবেন আমি কেমন লোক। আমার বিশ্বাস- সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমানের চলার পথকে মসৃৃণ রাখতে এবং মঠবাড়িয়াকে একটি স্মার্ট মঠবাড়িয়া হিসেবে গড়ে তুলতে মঠবাড়িয়াবাসী পুনরায় আমাকে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবে।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন