রোজার শুরুতেই তিন দিনের ছুটি, ঢাকা ছেড়েছেন অনেকেই

পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম দিন শুক্রবার (২৪ মার্চ)। এছাড়া শনিবার ও রোববারও সরকারি ছুটি। রোজার শুরুতেই তিন দিনের ছুটি পেয়েছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আর এই ছুটি পরিবারের সঙ্গে কাটাতে আশপাশের জেলার অনেকেই ছুটে গেছেন বাড়িতে।

সরকারি অফিসের পাশাপাশি অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও একদিন ছুটি নিয়ে এই ছুটি মিলেছে। সে কারনে রাস্তাঘাটে চলাফেরায় রয়েছে স্বস্তি।

জানা গেছে, শুক্র ও শনিবার সরকারি প্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি। সেই সঙ্গে ২৬ মার্চ রোববার স্বাধীনতা দিবসের ছুটি মিলে তিন দিনের ছুটির ফাঁদে দেশ। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অনেকেই মাঝখানে শনিবার ছুটি নিয়েছেন।

বেসরকারি একটি গাড়ি বিক্রয় প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন হাসান শরিফ। তিনি বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানে আমরা কয়েকজন ছুটি নিয়েছি। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) রাতেই তিনি বাড়ি যান।

রোজার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ময়মনসিংহ আসতে একটু রাত হলেও পরিবার নিয়ে সেহরি করেছি। আল্লাহ চায় তো ইফতারও করব। প্রথম রোজাগুলো পরিবার নিয়ে কাটাবো এটাই ভালো লাগছে।

এদিকে আজ শুক্রবারও অনেক মানুষ বাড়ি যাচ্ছে। এদের বেশির ভাগই আশেপাশের জেলার বাসিন্দা। বিশেষ করে টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, ময়মনসিংহ, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, কুমিল্লা, ফরিদপুরের মানুষ। মহাখালি টার্মিনালে এনা কাউন্টারের সামনে মানুষের লাইন দেখা যায়। এছাড়াও সৌখিন, আলম, সোনার বাংলা পরিবহনগুলোতে মানুষ ভাড়া দামাদামি করে উঠে বাড়ির পথ ধরছেন।

আলম পরিবহনের সুপারভাইজার সুজন বলেন, গতকাল অফিস শেষে ভালো ভিড় ছিল, আজও আছে। সময় কম লাগে তাই ময়মনিংহ অঞ্চলের অনেকেই বাড়ি যাচ্ছেন।

গুলিস্তান ফুলবাড়িয়া এলাকায় মাওয়া সড়কে চলাচলরত গাড়িতেও যাত্রীদের চাপ আছে বলেও জানা গেছে।

ফরিদপুরের বাসিন্দা আবুল কাশেম বলেন, সকাল সকাল যাত্রা করেছি। দুপুরে জুম্মার নামাজ এলাকার মসজিদে পড়ব। দুদিন স্ত্রী বাচ্চাদের নিয়ে রোজার ইফকার সেহরি করব। রোববার ঢাকায় ফিরবো।

এদিকে তিনদিনের ছুটি থাকলেও অনেকেই বাড়ির পথ ধরেননি এমনও আছেন। তবে ছুটিতে বেশ খুশি। সরকারি কর্মকর্তা ছামাদ হোসেন সচিবালয়ে চাকরি করেন। তিনি বলেন, আমার বাবা নেই মা আছেন। স্ত্রীও বাচ্চা গ্রামে থাকেন। ক’দিন পর ঈদের ছুটি। তাই এখন যাইনি।

রাজস্ব বিভাগে চাকরি করা জুলহাস উদ্দিন জানান, রোজার শুরুতে ছুটিটা ভালো লাগছে। তিনটা রোজা শেষ হবে অফিসের ঝামেলা থাকবে না। এখানেই পরিবার সবাই থাকেন। আর রোজায় যাওয়া আসা একটু কষ্টকর। ঈদের ছুটিতে একেবারে বাড়ি যাবো পরিবার নিয়ে।

ইতোমধ্যেই রোজায় স্কুল কলেজও বন্ধ রয়েছে। ফলে অনেকেই কয়েক রোজা পরই পরিবারসহ গ্রামে পাঠাবেন। আবার কেউ কেউ এই ছুটিতে পরিবার নিয়ে গ্রামে যাচ্ছেন। পরে পরিবার রেখে একা আসবেন কর্মস্থলে।