রোহিঙ্গাদের ফেরাতে ৩০ সদস্যের ওয়ার্কিং গ্রুপ

রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের ৩০ সদস্যের একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। বলেন, দুই দেশের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,”যে অ্যারেঞ্জমেন্টে আমরা উভয়পক্ষ সই করেছিলাম সেখানেই জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের কথা ছিলো। জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ আজ গঠিত হয়ে গেলো। এখন পরবর্তী ধাপের কাজ শুরু হবে। এখন দেখা যাক, আমরা দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করছি।’

কবে নাগাদ রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়া শুরু হবে সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,”কবে নাগাদ শুরু হবে এখনতো বলা যাবে না। এখন অ্যারেঞ্জমেন্ট বাস্তবায়ন করাটাই মুখ্য, করাটাই হলো সবচেয়ে ইম্পর্টেন্ট। এখন পর্যন্ত যা হয়েছে এটা নিয়ে আমি স্যাটিস্ফাইড (সন্তুষ্ট)।”

সকাল সাড়ে আটটার দিকে শুরু হয়ে এই বৈঠক শেষ হয় দুপুর ১২টার দিকে। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক এবং মিয়ানমারের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থো। বৈঠক শেষে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সম্মতিপত্র বিনিময় করেন দুই সচিব।

বাংলাদেশের ১৫ জন মিয়ানমারের ১৫ জন সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে এই ওয়ার্কিং গ্রুপ। বাংলাদেশের পক্ষে গ্রুপে নেতৃত্ব দিবেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক ও মিয়ানমারের পক্ষে নেতৃত্ব দিবেন মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থো।

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসহ ৮টি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এই বৈঠকে অংশ নেয়। বৈঠকে অংশ নিতে মিয়ানমার থেকে এসেছেন ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল।

গত ২৩ নভেম্বর মিয়ানমারের নেপিদোতে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে যে চুক্তি হয়, সেটা কিভাবে বাস্তবায়ন করা হবে সেই বিষয়েই এই বৈঠক।

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কিভাবে আবার ফেরত পাঠানো হবে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এই বৈঠকে।

গত ২৫ আগষ্ট থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে অন্তত ১০ লাখ রোহিঙ্গা। যারা কক্সবাজারের বিভিন্ন অস্থায়ী ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে।