রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের প্রতিবাদে মালয়েশিয়ার ক্ষমতাসীন দলের বিক্ষোভ
মিয়ানমারে চলমান রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের প্রতিবাদে ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার এক বিশাল বিক্ষোভের আয়োজন করেছে মালয়েশিয়ার ক্ষমতাসীন দল ইউএমএনও। বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা সরকারের প্রতি মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানান।
ইউনাইটেড মালয়স ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (ইউএমএনও)-এর এ বিক্ষোভের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। তিনি বলেছেন, আগামী সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কথা বলবেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নাজিব রাজাক বলেন, ‘হ্যাঁ! এই বিষয়টি আমি তার (ট্রাম্প) কাছে তুলে ধরবো।’ এ সময় তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুর সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানুষদের মৌলিক অধিকারের প্রতি অবজ্ঞা করা হচ্ছে। এটা বন্ধ হওয়া উচিত। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া অন্যায়।
আগামী ১২ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের কথা রয়েছে।
কুয়ালা লামপুর-এর রাজপথে গত দুই সপ্তাহে এটা রোহিঙ্গাদের প্রতি সংহতি জানিয়ে তৃতীয় বিক্ষোভ। তবে দেশটির ক্ষমতাসীন দল কর্তৃক এ ইস্যুতে এটাই প্রথম বিক্ষোভ।
এদিকে রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান নৃশংসতা বন্ধের দাবি জানিয়ে শুক্রবার মালয়েশিয়ার মিয়ানমার দূতাবাসের সামনে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন দেশটিতে বসবাসরত প্রায় শখানেক রোহিঙ্গা।
শুক্রবার মালয়েশিয়ার মেরিটাইম সংস্থার প্রধান জানিয়েছেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমদের আশ্রয় দিতে আগ্রহী কুয়ালা লামপুর। মালয়েশিয়ার কোস্ট গার্ড তাদের ফিরিয়ে দেবে না বরং তাদের অস্থায়ী আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হবে।
মালয়েশিয়া মেরিটাইম এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির মহাপরিচালক জুলকিফলি আবু বকর বলেন, মিয়ানমার থেকে আরও অনেক রোহিঙ্গা নৌকা নিয়ে আসতে পারে। তাদের জন্য আমাদের দরজা খোলা। তিনি বলেন, ‘আমাদের তাদেরকে প্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া কথা ছিলো। কিন্তু দিন শেষে আমরা সবাই মানুষ। আর মানবিক কারণেই আমার এই কাজ করতে পারবো না।’ সূত্র: স্ট্রেইট টাইমস
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন