রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রীর ৩ সুপারিশ

রোহিঙ্গা সংকট চিরতরে সমাধানের লক্ষ্যে বৈষম্যমূলক আইনের বিলোপ, নীতিমালা তৈরি এবং রোহিঙ্গাদের প্রতি নিষ্ঠুরতা বন্ধসহ জাতিসংঘে তিন দফা সুপারিশ উপস্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় সকালে শরণার্থী সংকটের বৈশ্বিক প্রভাব নিয়ে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এই প্রস্তাব দেন তিনি। খবর: বাসস।

প্রথম সুপারিশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারকে অবশ্যই বৈষম্যমূলক আইন ও নীতি বিলোপ, এবং রোহিঙ্গাদের প্রতি নিষ্ঠুরতা বন্ধ ও তাদের সে দেশ থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে হবে।

দ্বিতীয় সুপারিশে তিনি বলেন, মিয়ানমারকে অবশ্যই সকল রোহিঙ্গার নাগরিকত্ব প্রদানের সঠিক উপায়, নিরাপত্তা নিশ্চিত ও আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। প্রয়োজনে বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় মিয়ানমারের ভেতরে ‘সেফ জোন’ তৈরি করতে হবে।

তৃতীয় সুপারিশে শেখ হাসিনা বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নৈরাজ্য রোধে অপরাধীদের জবাবদিহিতা, বিচার, বিশেষ করে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের সুপারিশমালার আলোকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।

তিন দফা সুপারিশ উপস্থাপন করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ স্বল্প সময়ের মধ্যে ১১ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে বাসস্থান, খাদ্য ও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদেরকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক নিজ ঘর-বাড়ি থেকে বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে। অথচ তারা সেখানে কয়েকশ’ বছর ধরে বসবাস করে আসছে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট মিয়ামার সরকারই তৈরি করেছে। মিয়ানমারকে এর সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।

জাতিসংঘের সদর দফতরে জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক হাইকমিশনার আয়োজিত এই বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস উপস্থিতি ছিলেন।