‘লকডাউন’ আরও বাড়ানোর সুপারিশ

দেশে করোনাভারাসের সংক্রমণ রোধে চলমান ‘লকডাউন’ (বিধিনিষেধ) রয়েছে আগামী ২৩ মে পর্যন্ত। করোনাভাইরাস জনিত সংক্রমণের পরিস্থিতি বিবেচনায় পূর্বের সকল বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় ১৬ মে মধ্যরাত হতে ২৩ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বর্ধিত করা হয় লকডাউন।

প্রজ্ঞাপনে পুরনো সকল শর্ত বহাল রেখে নতুন করে যুক্ত করা হয় দুটি শর্ত।বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লা বাস, ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল।তবে জেলার ভেতরে গণপরিবহনসহ অভ্যন্তরীণ যানবাহন চলছে।

এদিকে, চলমান লকডাউন আরও ৭ দিন বাড়িয়ে ৩১ মে পর্যন্ত বহাল রাখার সুপারিশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

জানা গেছে, এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলে আগামীকাল রোববার প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে।

শনিবার (২২ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তবে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি লকডাউন বাড়ানোর সুপারিশ করেনি। সর্বশেষ গত ১৮ মে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ভার্চুয়াল সভা হয়। সেই সভার সিদ্ধান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়। সভায় লকডাউন বাড়ানোর কোনো সুপারিশ করা হয়নি।

উল্লেখ্য, কোভিড-১৯ সংক্রমণ আর মৃত্যুর ঊর্ধ্বগতি রুখতে সারা দেশে গত ৫ এপ্রিল থেকে শুরু হয় সাত দিনের লকডাউন। লকডাউন শেষে দুদিন বিরতির পর গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে আট দিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়। সেই মেয়াদ শেষ হয় গত বুধবার (২১ এপ্রিল) মধ্যরাতে। তবে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় লকডাউনের মেয়াদ ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়। পরে লকডাউন বাড়ানো হয় ৫ মে পর্যন্ত। এরপর গত ৩ মে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে আবারও লকডাউন বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপর ঈদের পর আরেক দফা বাড়িয়ে ২৩ মে পর্যন্ত করা হয়।