লক্ষ্মীপুরে পূত্রবধূকে হত্যার পর ধামাচাপা, চারদিন পর মরদেহ উত্তোলন

লক্ষ্মীপুরে দাফনের চারদিন পর কবর থেকে সুমাইয়া আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। বুধবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে আদালতের নির্দেশনায় লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের শশুর বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

এসময় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রিপা মনি দেবী, চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন ও মামলার তদন্তকারী কর্মকমর্তা এসআই মজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

সুমাইয়া সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের হানিফ মিয়াজি এলাকার আবু হোসেনের মেয়ে।

পুলিশ ও মামলা সূত্র জানায়, প্রায় ৩ বছর আগে বশিকপুর ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে তুহিনের সঙ্গে সুমাইয়ার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দেড় বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। তুহিন ঢাকার একটি বেসরকারি কোম্পানীতে চাকরি করেন।

বিয়ের পর থেকেই শশুর আমির হোসেন প্রায়ই সুমাইয়াকে বকাঝকা করতেন। গত শুক্রবার ৫ (ফেব্রুয়ারি) রাতে একপর্যায়ে সুমাইয়াকে তার শশুর পিটিয়ে হত্যা করেন। ঘটনা ধামাচাপা দিতে স্ট্রোকের নাটক সাজিয়ে পরদিন শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে সুমাইয়ার মরদেহ তড়িঘড়ি করে কবর দিয়ে দেয়।

কিন্তু দাফনের পর সুমাইয়ার মা কোহিনূর বেগম হত্যার অভিযোগে আমিরের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে আমিরকে গ্রেফতার করে। পরে আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত লাশ উত্তোলন করে সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

নিহতের মা কোহিনূর বেগম খুকি বলেন, ‘আমার মেয়েকে হত্যার পর স্ট্রোকের নাটক সাজিয়ে শশুর বাড়ির লোকজন তড়িঘড়ি করে কবর দিয়ে দিয়েছেন। আমির আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমি মেয়ে হত্যার বিচার চাই।’

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মজিবুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার পরপরই মামলার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।