লঞ্চে ভয়াবহ আগুন : দুই সন্তান হারানো রাসেলও চলে গেলেন

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
তার নাম মো. রাসেল (৩৮)। আগুনে রাসেলের দুই সন্তান জীবন (১৪) ও ইমন (৯) লঞ্চেই মারা গিয়েছিল।

সংবাদমাধ্যমকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্তলাল সেন। তিনি জানান, রাসেলের শরীরের ১৮ শতাংশ দগ্ধ ছিল। তিনি আইসিউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

নিহতের ছোট ভাই ভাই মুন্না শেখ বলেন, আমার ভাই গাড়িচালক ছিলেন। আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে দগ্ধ হন তিনি। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা চলছিল তার। সেখানে আজ তার মৃত্যু হয়।

তিনি বলেন, আমাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থানায়। আমার ভাই রাজধানীর উত্তর মাদারটেক সবুজবাগ এলাকায় থাকতেন। তার দুটি ছেলেও রয়েছে।

গত ২৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লাগে। এ ঘটনায় প্রায় অর্ধশত মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আহত রয়েছেন শতাধিক যাত্রী, নিখোঁজও আছেন অনেকে। আহতদের রাজধানীসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রাসেলের শাশুড়ি মনোয়ারা বেগম (৬০) এবং শ্যালকের স্ত্রী রুমা (২০) ও রুমার মেয়ে অহনা (৩) আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যায়। বর্তমানে রাসেলের স্ত্রী পুতুল এবং পুতুলের বড় ভাই কালু বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ নিয়ে বার্ন ইনিস্টিউটে চারজনের মৃত্যু হলো। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন আরও ১২ জন।

আগুনের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় প্রায় ৪০০ যাত্রী নিয়ে এমভি অভিযান-১০ সদরঘাট থেকে ছেড়ে যায়। চাঁদপুর ও বরিশাল টার্মিনালে লঞ্চটি থামে এবং যাত্রী ওঠানামা করেন। ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে পৌঁছলে রাত ৩টার দিকে এতে আগুন ধরে যায়।