লড়াই ছাড়া পথ নেই : নোমান

পাকিস্তান শাসনামলের অনেক বাধা এসেছে। গণতন্ত্রকামী মানুষের ওপর অত্যাচার হয়েছে। তারপরও আমরা লড়াই করেছি এবং জয়ী হয়েছি। আগামীতেও আমাদের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে লড়াই করতে হবে। লড়াই ছাড়া পথ নেই। লড়াই করেই বাঁচতে হবে। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গোপীবাগ সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে এক দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান ।

অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার পিতা মরহুম এমএ করিম সাহেবের মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

এ সময় নোমান বলেন, সাদেক হোসেন খোকা গেরিলা যুদ্ধা ছিলেন, ভয় তাকে পিছু হটাতে পারেনি। আমাকেও মুক্তিযুদ্ধের সময় সাত বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। ভয় পাইনি। সাহস করে সামনের দিকে এগিয়েছি। গণতন্ত্রকামী জনতাকে ভয়কে পরাজিত করে সাহসকে জয় করতে হবে।

দোয়া মাহফিলে ইশরাক হোসেন বলেন, বাংলাদেশ আজ সংকটময় সময় অতিক্রম করছে। চলছে দেশবিরোধী আগ্রাসন। এ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমাদের রূখে দাঁড়াতে হবে। বাইরের কোনো হুকুমে এ দেশ চলবে না।

তিনি বলেন, অনেক জেল-জুলুম হয়েছে। আরও হবে। সবকিছু মোকাবিলা করেই আগামী দেশকে সত্যিকারভাবে স্বাধীন করতে হবে, উদ্ধার করতে হবে ছিনতাই হওয়া গণতন্ত্র।

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এতে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার কনিষ্ঠ পুত্র ইশফাক হোসেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শামসুজ্জামান সুরুজ, দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সাত্তার, মনির চেয়ারম্যান, মহানগর নেতা সাইদুর রহমান মিন্টু, লিয়াকত আলী, আব্দুল কাদির, তাজউদ্দীন আহমেদ তাইজু, যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি গোলাম মোস্তফা সাগর, যুগ্ম সাধারণ গোলাম মাওলা শাহীন, স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিন, শ্রমিক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক সুম ভূঁইয়া, সাবেক আহ্বায়ক আলী রেজাউল রহমান রিপন, মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য মাশরুল হোসেন প্রমুখ।