লন্ডনে হামলার শিকার বাঙালি কাউন্সিলর প্রার্থী

লন্ডনে হামলার শিকার হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী।

গত শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেলে নিজের নির্বাচনী প্রচারকালে হামলার শিকার হন আবদুল্লাহ আল মামুন। তাঁর মাথা ফেটে রক্ত ঝরে। চিকিৎসা শেষে তিনি বাসায় ফিরেছেন। এ ঘটনা আবারও জাগিয়ে দিল টাওয়ার হ্যামলেটসের ‘নোংরা রাজনীতি’র বদনাম।

আগামী ৩ মে যুক্তরাজ্যে স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে জমে উঠেছে প্রচার-প্রচারণা। আর বাংলাদেশি-অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসে নির্বাচন মানেই আলাদা উত্তাপ। নেতিবাচক ঘটনার কারণে এই কাউন্সিলের নির্বাচন বরাবরই খবরের শিরোনাম হয়।

মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন টাওয়ার হ্যামলেটসের স্বতন্ত্র দল অ্যাসপায়ারের প্রার্থী। লড়ছেন ওয়াপিং ওয়ার্ডে। পেশায় রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী মামুন এবারই প্রথম নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। বাংলাদেশে তাঁর বাড়ি কুমিল্লার লালমাই থানার ভাবকপাড়া গ্রামে।

গতকাল শনিবার রাতে আবদুল্লাহ আল মামুন টেলিফোনে বলেন, নিজ নির্বাচনী এলাকার রিয়ারডন হাউস ভবনে ঘরে ঘরে গিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছিলেন তিনি। ভবনটির দোতলায় মুখোশধারী এক লোক পেছন থেকে তাঁর মাথায় শক্ত ধাতব বস্তু দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁর মাথা থেকে প্রচুর রক্ত ঝরতে থাকে। কোনো রকমে ভবন থেকে নেমে আসেন। আশপাশের লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। মিনিট দশেকের মধ্যে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে। স্থানীয় রয়্যাল লন্ডন হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। গতকাল ভোরে তিনি বাসায় ফেরেন। মামুন জানান, তাঁর মাথায় ১১টি সেলাই দিতে হয়েছে।

এই কাউন্সিলর প্রার্থী বলেন, কারও সঙ্গে আবদুল্লাহ আল মামুনের কোনো শত্রুতা নেই। নির্বাচনী প্রচারকাজ থেকে বিরত রাখতে এই হামলা হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। এর আগে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক লোক তাঁকে নির্বাচনী প্রচার থেকে বিরত থাকতে হুমকি দিয়েছিল বলে দাবি করেন তিনি।

অ্যাসপায়ার দলের মেয়র প্রার্থী আবুল মনসুর অহিদ আহমদ গতকাল বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যারা হামলা চালিয়েছে, তারা সন্ত্রাসী। একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এমন আচরণ কোনোভাবে কাম্য নয়। অহিদ আহমদ জানান, তিনি স্থানীয় পুলিশপ্রধান ও রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এই ঘটনার দ্রুত বিচারের পাশাপাশি তাঁর দলের কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিরাপত্তা চেয়েছেন।