মোস্তাফিজের মুম্বাইকে একাই হারালেন ব্রাভো

আইপিএলের ১১তম আসর হার দিয়ে শুরু করলো মোস্তাফিজের মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। আরো সঠিক করে বলতে গেলে এক ব্রাভোর কাছেই হেরে গেল মুম্বাই। শেষ তিন ওভারে চেন্নাইয়ের দরকার ছিল ৪৭ রান। এই অসম্ভবকেও সম্ভব করে ফেলেন ব্রাভো। ১৮ এবং ১৯ তম ওভারে ২০ রান করে নেন তিনি। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৭ রান দরকার ছিল চেন্নাইয়ের কিন্তু শেষ ওভার করতে এসে মোস্তাফিজ প্রথম তিন বল ডট দিলেও চতুর্থ বলে ছয় খেয়ে বসেন চেন্নাইয়ের শেষ ব্যাটসম্যান জাদবের কাছে। মোস্তাফিজের করা পঞ্চম বলে চার মেরে দলকে স্মরণীয় এক জয় এনে দেন ১০ নম্বরে ব্যাট করতে নামা জাদব।

১৬৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে চতুর্থ ওভারেই চেন্নাইয়ের ওয়াটসনকে ফেরান হার্দিক পান্ডিয়া। ওয়ান ডাউনে ব্যাট করতে নামা সুরেশ রায়নাকেও বিধ্বংসী হওয়ার আগে ফেরান এই পান্ডিয়াই। এক পর্যায়ে দশ ওভারেই ৪ উইকেট হারিয়ে মোটে ৫৬ রান তোলে চেন্নাই। মোস্তাফিজ যখন জাদেজাকে ১২তম ওভারে আউট করেন তখনও চেন্নাইয়ের দরকার ৮ ওভারে ৯১ রান। কিন্তু ক্রিজে যে ব্রাভো রয়েছেন তখন! শেষ পর্যন্ত সেটাই কাল হয়ে দাঁড়ালো মুম্বাইয়ের জন্য। ৩০ বলে সাতটা ছক্কায় ৬৮ রানের এক ধুমধাড়াক্কা ইনিংস খেলে মুম্বাইয়ের হাতের মুঠো থেকে জয় ছিনিয়ে আনেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই অলরাউন্ডার।

এর আগে আইপিএলের জমজমাট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর টস জিতে মুম্বাইকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় দুই মৌসুম পর আইপিএল খেলতে আসা চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। চাহারের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই ফিরে যান ওপেনার এভিন লুইস। এরপর যদিও রোহিত শর্মা আর ইশান কিষাণের ব্যাটে এগুনোর চেষ্টা করে মুম্বাই। ১৮ বল খেলে ১৫ রান করে আউট হন রোহিত শর্মা। ইশান কিষান ২৯ বল খেলে আউট হন ৪০ রান করে। ২৯ বলে ৪৩ রান করেন সুর্যকুমার যাদব। শেষ দিকে হার্দিক পান্ডিয়ার ২০ বলে ২২ এবং ক্রুনাল পান্ডিয়ার ২২ বলে ৪১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানের লড়াকু পুঁজি পায় মুম্বাই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই রানেও লড়াই করে হারতে হয়েছে তাদের। মোস্তাফিজ ৩ ওভার ৫ বল করে ১ উইকেটের বিনিময়ে দেন ৩৯ রান।